সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠাতে মন্ত্রণালয়ের সাড়া মিলেছে

6

ডিসি সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবে ওঠার পর তাতে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব তাদের মধ্য থেকে তোলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানতে চাইলে আলী আজম বলেন, ‘ইউএন মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে ওই দেশের, যে দেশে যাবে এবং ইউএনের পক্ষ থেকে চাহিদা প্লেস করার বিষয়ে। আমরা এটা দেখেছি এই পর্যন্ত যে দেশের লোকজন ইউএন মিশনে বেশি কাজ করে, ওই দেশ এই সুযোগ-সুবিধা পায়। আমরা যাতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পেতে পারি এ জন্য আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
দেশের তিনটি বিভাগে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল স্থাপনে ডিসিদের প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আলী আজম বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল করার জন্য আমরা তিনটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ইতিমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমরা পেয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এটি নির্মাণ করার জন্য।’ খবর বিডিনিউজের
বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ (আইএমইডি) জেলা পর্যায়ে তাদের শাখা না থাকায় ডিসিদের মাধ্যমে একটি শাখা গঠনের সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ সচিব আজম বলেন, আমাদের জনবল বা শাখা গঠন করতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন, কেবিনেটের মাধ্যমে এটি গঠন করতে হয়। বর্তমান যে জনবল কাঠামো সেখানে এক্সিস্টিং অবস্থায় আছে, তার মধ্য থেকে সমন্বয় করে একটি শাখা গঠন করার জন্য আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। কোভিড মহামারীর মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।