সম্পদ লুট করে দেশ ছাড়তে চায় আ. লীগ : ফখরুল

8

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘বর্গীদের মতো’ সম্পদ লুট করে এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আগে যেভাবে বর্গীরা আমাদের দেশে এসে সব সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত, আজকে আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে সম্পদ লুটের একটা আসর বসিয়েছে, লুটের একটা উৎসব সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের সব মানুষ- তারা যেন মরিয়া হয়ে গেছে; পাগল হয়ে গেছে যে- লুট করে তারা অতি দ্রুত সব সম্পদ নিয়ে এদেশ ছেড়ে চলে যাবে।
আওয়ামী লীগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। এর বিরুদ্ধে সবাই সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। খবর বিডিনিউজ’র
তিনি বলেন, এখন আর বসে থাকার সময় নাই। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে পারব।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
ফখরুল বলেন, পত্রিকায় দেখেছেন, চট্টগ্রামে ওএমএসের চাল কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দুই বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। আজকে দুর্ভাগ্য যখন আমাদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তারা চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে তখন প্রধানমন্ত্রী যিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাওরের মধ্যে গিয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে ২৩ পদ, ২৪ পদ মাছের রান্না করে উৎসব করছেন। শুনতে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু এটা এই মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে পরিহাস।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম দুই মাসে তিনবার বাড়ানো হল। তাদের তো বিদ্যুতের দাম দিতে হয় না। সরকারি খরচে অর্থাৎ জনগণের টাকায় তাদের এসি চলে, ফ্রিজ চলে, সবকিছু জনগণের পয়সায় চলে। কিন্তু জনগণকে তাদের পকেট থেকে বিদ্যুতের দাম দিতে হয়। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ায় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কাও প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, একইভাবে গ্যাসের দাম, জ্বালানি তেলের দাম, কয়লার দাম সব কিছুর দাম বাড়ছে, কোথাও কোনো জিনিসে মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে না।
জেএসডির সভাপতি রব বলেন, এক যুগের বেশি সময় ‘ভোট ডাকাতি’ করে একটি সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে রাষ্ট্র একটা ‘বিপজ্জনক অবস্থায়’ পড়েছে।
জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বক্তব্য দেন।