‘সমাজ প্রগতির সংগ্রামে হারুন ছিলেন অগ্রসৈনিক’

13

 

শোষণ-বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার সংগ্রামে অগ্রসৈনিক ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হারুন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মাটির মানুষ, যিনি শত দুঃখ-কষ্টে থেকেও হাসিমুখে সমাজ প্রগতির সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। প্রগতিশীল আন্দোলনের নিষ্ঠাবান যোদ্ধা ছিলেন মো. হারুন। আমৃত্যু তিনি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এভং আদর্শ বিস্তারের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সাবেক ছাত্রনেতা মো. হারুনের স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মো. হারুন ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি উদীচী, খেলাঘরসহ বিভিন্ন গণসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রাক্তন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হারুন স্মরণসভা পরিষদের আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল কবির মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইউসুফ সোহেলের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, চবি অধ্যাপক ড. ওমর ফারুখ রাসেল, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা শওকত আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন প্রমুখ।
স্মরণসভার শুরুতে শোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংস্কৃতি সংগঠক শিল্পী শীলা দাশগুপ্তা। এরপর মো. হারুনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রগতিশীল আন্দোলনের এই যোদ্ধা গত ১১ জুন মাত্র ৫২ বছর বয়সে জটিল ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সুদূর আমেরিকায় মৃত্যুবরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি