সমাজ ও দেশ বাঁচাতে চাই মানসম্মত পণ্য

11

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, মানসম্মত পণ্য আমাদের সকলের কাম্য। মানহীন পণ্য বিক্রি করা অপরাধ। সকলে সচেতন না হলে শুধু মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে খাদ্য ও পণ্যের মান নির্ধারণ সম্ভব নয়। মান জিনিসটা আপেক্ষিক। এসডিজির ১৭টি গোলের মধ্যে ১১টি গোল মান নিয়ে সরাসরি সম্পৃক্ত। এসডিজি’র গোল অর্জনসহ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মিাণে প্রত্যেক খাদ্য ও পণ্যের মান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। বিএসটিআই’র অনুমোদিত ১২৯টি পণ্য থাকলেও অনুনোমোদিত রয়েছে আরও চার হাজারের অধিক পণ্য। এগুলোর মান কেমন তা ল্যাবে পরীক্ষা না করলে জানা যাবে না। এসব পণ্যের মান যাচাই করে লাইসেন্সের আওতায় আনা জরুরী। পরিবার, সমাজ, দেশ ও পৃথিবীকে বাঁচাতে মানসম্মত পণ্যের কোন বিকল্প নেই। এজন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরী। প্রত্যেক পণ্য মানসম্মতভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে ব্যবসায়ী মহলকে আন্তরিক হতে হবে। গত ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ব মান দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস কর্তৃক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, আমরা সকলেই ভোক্তা। খাদ্য-পণ্যের মান নিয়ে কোন ধরণের আপোষ নয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা মানহীন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত কওে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। এব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম। এখান থেকে অধিকাংশ রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হয়। এখানে বিএসটিআই’র স্বয়ং সম্পূর্ণ ল্যাব না থাকার কারণে অনেক পণ্যের লাইসেন্স পেতে ঢাকায় নমুনা পাঠাতে হয়, ব্যবসায়ীদেরকে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস.এম নাজের হোসাইন বলেন, বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া কোন খাদ্য বা পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবেনা। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, যে কোন পণ্য বাজারজাতকরণের পূর্বে বিএসটিআই’র লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (মেট) ও চট্টগ্রাম প্রধান মোঃ শওকত ওসমান বলেন, শিল্পোন্নয়ন ছাড়া দেশের রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের বেশিরভাগ আমদানি-রপ্তানী হয়ে থাকে। বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (মেট) ও চট্টগ্রাম প্রধান মো. শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে ও ফিল্ড অফিসার (সিএম) শিমু বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব মান দিবসের আলোচনা সভায় বিশেস অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস.এম নাজের হোসাইন ও দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচারিং এসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সাল আবদুল্লাহ আদনান, বনফুল গ্রæপের জি.এম মোঃ আমানুল আলম, ফুলকলি গ্রুপের জি.এম এম এ সবুর, ইউনিলিভারের সাইট কোয়ালিটি ম্যানেজার রাশেদুল হক সরকার, মুনস্টার পেইন্টস এন্ড কেমিকেলের গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আজিম উদ্দিন, সিএন্ডএফ এজেন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, বিএসআরএম’র কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল কায়েস, সিইউজে’র সদস্য সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, ক্যাব দক্ষিণ চট্টগ্রামের সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, ক্যাব চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোঃ জানে আলম, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।