সন্দ্বীপ সোনালী ব্যাংকে স্টাফ এসেছেন বিলম্বে, লেনদেন ছিল না দু’ঘন্টা

136

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি
টানা তিনদিন ছুটির রেশ কাটিয়ে সোমবার ব্যাংক খোলা হলেও খোলার দু’ঘন্টার মধ্যে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে লেনদেন স্বাভাবিক করতে পারেনি সরকারী মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখায়। সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সরেজমিনে ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় ক্যাশ কাউন্টারের সামনে গ্রাহকদের জটলা। লেনদেনের তিনটি কাউন্টারে নেই কোন কর্মকর্তা। এ সময় দেখা যায় ব্যাংকের ম্যানেজার বেলাল উদ্দিনের চেয়ারও শূন্য। এ ছাড়া ব্যাংকে কর্মরত ১৩ জন স্টাফের মধ্যে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪জন। উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে তারা এসে পৌঁছবেন। কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে তখন তারা সন্দ্বীপ চ্যানেলের সীতাকুণ্ড পাড়ে নৌযানের অপেক্ষায় আছেন। এদিকে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে উপস্থিত গ্রাহকরা ক্যাশ কাউন্টারে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির অভিযোগ জানান। সকাল দশটা পঞ্চাশ মিনিটে ব্যাংকের ২য় কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্রকে গ্রাহকদের দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, কর্মকর্তারা কিছুক্ষণের মধ্যে আসবেন কিন্তু গ্রাহকদের বোঝানো যাচ্ছে না। পরে একজন সংবাদকর্মী বিষয়টি ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাব্যবস্হাপক আলী আশরাফকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সকাল সাড়ে এগারোটায় উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের কর্মচারী সালাহউদ্দীন  জানান, কৃত্রিম প্রজননের চালানের টাকা জমা দিতে ঘুরছি, কাউন্টারে কেউ নেই বিধায় জমা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
দশটা চল্লিশ মিনিটে সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মনি জানান, ক্যাশ কাউন্টারে কেউ নেই। আমি সহ অনেকে সকাল দশটা থেকে বসে আছি, টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা জহির বললেন, পৌনে এক ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তার দেখা নাই।
পরে বেলা এগারোটায় বিশেষ ব্যবস্থায় শুধুমাত্র নগদ টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। জানা গেছে, দুপুর বারোটায় ম্যানেজার বেলাল উদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ব্যাংকে উপস্থিত হলে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।