সন্দ্বীপ-কুমিরা নৌ রুটে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ

15

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি

নির্মাণের এক যুগ না যেতেই অচল হয়ে গেছে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ পথের কুমিরা ফেরীঘাটের যাত্রী ওঠানামার জেটি। গত বৃহস্পতিবার বিকালে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্মিত এ জেটির অগ্রভাগের সিঁড়ি ভেঙে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে সিঁড়ির এ অংশ ফেটে গেলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জেটি অচল হয়ে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের নৌযানে ওঠানামায় দুর্ভোগ এখন চরমে ওঠেছে। জাহাজে এখন যাত্রী ওঠানামায় বিলম্ব হচ্ছে। টাইম সিডিউল বিপর্যয়ের আশংকায় এ রুটে চলমান বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এমভি আইভি রহমান দৈনিক দুই ট্রিপের পরিবর্তে এখন মাত্র এক ট্রিপ যাত্রী পরিবহনের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে ভাটার সময় কাদা আর কোমর পানি মাড়িয়ে যাত্রীদের বিশেষ করে নারী-শিশুদের নৌযানে ওঠানামা করতে গিয়ে নানা সমস্যায় মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে কুমিরা ঘাটে গিয়ে এ দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ নৌপথের দুই প্রান্তে নির্মিত জেটি উদ্বোধন করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। প্রায় ২৬ কোটি টাকায় দুই পাশে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণ করা হয়। এ সময় জেটিতে যাত্রী ওঠানামার সিঁড়িও রাখা হয়। সীতাকুন্ডের কুমিরা অংশে বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ জেটির সিঁড়ির অংশ ভেঙে পড়ে যায়। শুক্রবার থেকে বিআইডব্লিউটিএ জেটিতে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ ব্যবস্থাপক নয়ন শীল পূর্বদেশকে বলেন, জেটির ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌপথে কুমিরার পাশে জেটির কারণে যাত্রী ওঠানামায় ইতোপূর্বে তেমন কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি যাত্রীদের। কিন্তু জেটি অচল হয়ে যাওয়ায় আবারো ওঠানামায় ভোগান্তি সৃষ্টি হবে যাত্রীদের। শুক্রবার কুমিরা ঘাটে সন্দ্বীপমুখী অপেক্ষমান যাত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নোমানের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দৈনন্দিন এ রুটে প্রায় চারহাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। তিনি বলেন, জেটির শেষ অংশ ভেঙে যাওয়ায় নৌযানে ওঠতে আমাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হবে। সন্দ্বীপবাসীর কষ্টের শেষ বোধ হয় নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিরা জেটির শেষের ৫টি খুঁটি মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে এগুলো। বিআইডব্লিউটিএ জেটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও কাজটি শেষ হতে লাগতে পারে লম্বা সময়। তাই অবিলম্বে একটি কাঠের বা লোহার ব্রিজ যাত্রীদের ওঠানামার স্বার্থে অস্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।