সন্দ্বীপ প্রতিনিধি
সন্দ্বীপে মায়মুনা খানম নামের এক নারী শিক্ষকের বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় শিক্ষক ও তার ব্যবসায়ী স্বামী আজিম এবং পাঁচ বছরের শিশুকন্যা গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার ভোরে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার ভোর রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসরত নারী শিক্ষক মায়মুনা ও ব্যবসায়ী আজিমের ভবনের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় নগদ টাকা ও মূল্যবান গয়না বের করে দেওয়ার জন্য ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে থাকে। ডাকাতরা গৃহকর্তা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী আজিমের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। একই সাথে গৃহকর্ত্রী ও স›দ্বীপ পাবলিক হাইস্কুলের শিক্ষিকা মাইমুনা খানম নিপা ও তার কন্যা শিশুকেও মারধর করে।
এসময় ডাকাতরা তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
আহত স্কুল শিক্ষিকা মায়মুনার ভাই করিম জানান, রবিবার ভোরে ডাকাতদল আমার বোনের ঘরে ডাকাতি করে। তাদের ৬ জন অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য বেধড়ক মারধর করে ও কোপাতে থাকে। আমার ভগ্নিপতি আজিমের দোকানে হালখাতা চলছিল। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
পুরো ঘর তছনছ করে গেছে। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
