সন্দ্বীপে বনায়নের গুরুত্ব ও ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ বিষয়ক সেমিনার

77

সন্দ্বীপে জলবায়ু পরিবর্তন সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজন উপকূলীয় বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষন ও সম্প্রসারন বিষয়ক এক সেমিনার গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিআই’র সিজেআরএফ প্রকল্প ও কোস্ট ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে সন্দ্বীপ উপজেলা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বৌধী চাকমা। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দীন মিশন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিজেআরএফ প্রকল্প কোস্ট ট্রাস্টের প্রোগাম হেড আবুল হাসান। সেমিনার বিষয়ে ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন এসডিআই সন্দ্বীপ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান। রিকল ২০২১ প্রজেক্টের এফএফ বাদল রায় স্বাধীনের সঞ্চালনায় সেমিনার পেপারের উপর মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন, সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম মোহাম্মদ, আজিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সিএস দিদারুল আলম, বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল্যা আল বাকী, প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি সুফিয়ান মানিক, নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপক মো. শামসুদ্দীন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পৃথীবি হুমকির মুখে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি গবেষকদের মাঝে শংকা বাড়িয়ে দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ফসল উৎপাদনে ব্যাপক নৈতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাড়ছে ঘুর্ণিঝড়ের প্রকোপ। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক নিন্মাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যাপক বনায়ন ও ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণ ও স¤প্রসারন। যা কার্বন শোষন করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজে লাগবে। আর বনায়নের জন্য বিভিন্ন চর এলাকা, নদীর পাশের বেড়িবাঁধ, সড়কের দুই পাশ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চারপাশকে বেছে নিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন কল কারখানার কালো ধোয়া, ইট ভাটা বন্ধ করনসহ কার্বন নিঃসরন করে এমন প্রতিষ্ঠান সমুহকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও স›দ্বীপের ক্ষেত্রে নতুন নির্মিতব্য বেড়িবাঁধকে বনায়নের আওতায় আনাই হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বনবিভাগের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। এবং কৃষি খাতের কথা চিন্তা করে লবন সহিষ্ণু জাতের ফসল রোপন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।