সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সংঘর্ষ, আহত ১০

22

সন্দ্বীপে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় নুরুল আহাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাইটভাঙ্গা ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়। আহতরা হলেন নুরছাপা মালাদার (৫০), ফরিদুল মাওলা রাসেল (৩৫), নুর হোসেন (২৭), রহমানুল ইসলাম (২৫), রহিমা বেগম (৫২), রাশেদ (৩২), মো. করিম (৩৫), মো. সেলিম (৪৩), আমজাদ (৩৮), ফারহানা (৩৩)। আহতরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত নুরছাপা মালাদার বাদী হয়ে এ ঘটনায় স›দ্বীপ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আওয়ামী লীগের আহব্বায়ক দিদারুল আলম জানান, সভাপতি প্রার্থী করিম মেম্বার অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীর সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনার সৃষ্টি করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, যুবলীগ এ ঘটনায় কোনভাবেই জড়িত ছিল না, ঝগড়া মিমাংসার দায়িত্ব পালন করেছে।
এদিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রার্থী ও ইউপি সদস্য করিম মেম্বার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী হেলালের লোকেরা তাকে, তার ভাই, ভাবী সহ তার ৬/৭ জন সমর্থককে মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
অধিবেশনে আগত নেতৃবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শী কাউন্সিলরদের সাথে আলাপে জানা গেছে সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচনের ভোট শুরু হওয়ার ২/৩ মিনিটের মধ্যে প্রার্থী করিম মেম্বার জনৈক ভোটারের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর তিনি গোপন বুথে কাউন্সিল নেতৃবৃন্দের মনোনীত প্রতিনিধির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ও তাকে পরিবর্তন করে নিজের প্রস্তাবিত জনৈক কাউন্সিলরকে নিরপেক্ষ আখ্যায়িত করে তাকে নিয়োগের দাবি জানাতে থাকেন। উক্ত দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে তিনি উপস্থিত ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের তর্কাতর্কিতে উপস্থিত কাউন্সিলরাও জড়িয়ে পড়েন এবং তা হাতাহাতি থেকে মারামারিতে রূপ নেয়।