সন্দীপনার ২৯ এপ্রিল স্মরণ

13

 

১৯৯১ এর ২৯ এপ্রিলে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচীর আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন- আজও উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ও দ্বীপসমূহে পর্যাপ্ত ভেড়িবাঁধ তৈরি হয়নি, হয়নি পর্যাপ্ত বনায়ন। ভেড়িবাঁধ তৈরি হয়ে থাকলেও কোথাও কোথাও জোয়ারের তোড়ে অনেক স্থানে ভেসে যেতে দেখা যায়। আমাবস্যা পূর্ণিমারকালে প্রায় স্থানে প্লাবনের মত পানি ঢুকে পড়ে। ফলে ফসলী জমি ভেসে যায় লবনাক্ত পানিতে। পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার তৈরির কথা থাকলেও বিগত কয়েক বছরে নতুন কোন শেল্টার, ইমারত তৈরি হয়নি। এ বিষয়ে সরকার এগিয়ে না এলে উপকুলীয় জনপদে মানবতা বিপন্ন হবে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বহু সাইক্লোন শেল্টার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘুর্ণিঝড়, প্লাবন, লোনাধরা, সমুদ্রস্রোতের কারনে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ভগ্নদশায় পর্যবসিত সাইক্লোন শেল্টারগুলো সংস্কার না করলে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপকুলবর্তী জনসাধারনের মানব সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ, মূল্যবান স্থাপনা সমূহ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই উপকূল রক্ষা ভেড়িবাঁধের ছেড়া অংশের মেরামত, পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে এই সমস্যা নিরাকরন সম্ভব। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে উপকূলবর্তী নিরাপত্তা বেষ্টনী ও অন্যান্য কর্মসূচী বেগবান করতে বক্তারা আহŸান জানান। সব শেষে নিহদের স্মরণে সহস্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে থিয়েটার সন্দীপনার নাট্যকর্মীরা ঘুর্ণিঝড় কিংবা প্লাবন সময়ের উপর বিষয় ভিত্তিক ডিসপ্লেতে অংশ নেন- নাট্যকর্মী হাসান মুরাদ, হুজুতুল্লাহ হিমু, নাজমুল আবেদীন অভি, অনিত কুমার নাথ, এমরান হোসেন মিঠু, বৃষ্টি দাশ, জ্যোতি শর্ম্মা, উজ্জ্বল সিংহ, মৈত্রী আচার্য, রেহেনা আক্তার পিংকি, শিল্পী দত্ত, মোঃ রাশেদ, মোঃ আবদুল করিম শ্রাবন, মোঃ রাশেদুর রহমান সেলিম।