সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন নয়, বই তুলে দিন

25

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জ্ঞানার্জন ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবের প্রতি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ- সবার আসক্তি বেড়ে গেছে।
গতকাল শনিবার নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে আয়োজিত ৬ দিনব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এ বই মেলার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সন্তানেরা বই পড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত জাতি গঠণে সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন নয়, বই তুলে দিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। খাদ্যে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। সব উন্নয়ন সূচকে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি। অনেক সূচকে ভারত থেকেও এগিয়ে।
তিনি বলেন, বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই পড়ে মানুষ নিজের অবস্থানকে মজবুত করতে পারে। বই মেলা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। নিয়মিত বই পড়ার পাশাপাশি বই মেলার সঙ্গে সন্তানদের সম্পৃক্ত রাখতে অভিভাবকেরা আন্তরিক হলে মেলা স্বার্থক হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক কবি আবুল মোমেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান রাজনীতিকদের টেন্ডারে কিনে নিয়েছিলেন। বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আজকের বড় বড় নেতাদের সবাই সেই টেন্ডারের মাধ্যমে কেনা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন রাজনীতিতে বণিকায়ন হচ্ছে, দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। এসব শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পূর্ণতা দিয়েছেন জেনারেল এরশাদ। ষোলকলা পূর্ণ করেছেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আজকে যারা জিয়াউর রহমানের দলের বড় বড় নেতা- তাদের অনেকে টেন্ডারে বিক্রি হওয়া নেতা। তাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে রাজনীতিতে বণিকায়ন করা হয়েছে। ’৭৯ সালের নির্বাচনে অস্ত্র নিয়ে ভোটের আগের দিন মহড়া দেওয়া হয়ছিলো। যাতে কেউ ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের রাজনীতি দুটোই চর্চা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতত্বে যে জোট, তারা আমাদের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। সেখানে এমন অনেক রাজনীতিক দল আছে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি তালেবানি রাষ্ট্র করা।
‘একটি স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের রাজনীতি দুটো একসঙ্গে হতে পারে না’ বলেন তিনি।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য দেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আইভি আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।