সনদের মান রক্ষা করতে হবে প্রিমিয়ার ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের

11

 

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে স্থাপত্য বিভাগের ২০তম ব্যাচের বরণ এবং নবম ও দশম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০ জুন সকাল ১১টায়। এ উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পিঠা উৎসব ও বাংলাভোজেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ।
স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর স্থপতি সোহেল এম. শাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, পৃথিবীতে অসাধারণ স্থাপত্যশিল্প রয়েছে অনেক। এক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রীসের পার্থেনন, রোমের কলোসিয়াম, আগ্রার তাজমহল ও ব্যবিলনের শূন্য উদ্যান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও টেরাকোটাও এক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো। এসব স্থাপত্যশিল্প খুবই প্রাচীন। আমি আশা করি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী আজ বিদায় নিচ্ছে, তারা কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত হয়ে এসব স্থাপত্যশিল্পের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে এমনসব স্থাপনা তৈরি করবে, যেগুলো যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তিনি তাজমহল সম্পর্কে বলেন, মোঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এই তাজমহলের সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে লিখেছেন, ‘কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল/তাজমহল’। তিনি হোয়াইট হাউসে তাজমহলের প্রভাব রয়েছে বলে তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
শিক্ষার্থী শতাব্দী বিশ্বাস ও সাফাত হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা পিরামিড ও আইফেল টাওয়ারসহ বিশে^র প্রসিদ্ধ অনেক স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাস বর্ণনা করেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি এফ আর খান সম্পর্কে বলেন, এফ আর খান তাঁর স্থাপত্য প্রতিভা দিয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্বকে সমৃদ্ধ করে গেছেন।
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্থায়ী সনদপ্রাপ্ত। এই সনদের মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের। আজকের নবীন শিক্ষার্থীদের তা মনে রাখতে হবে। প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, নিরাপদ স্থাপনা তৈরি করাই আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রধান কাজ। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর স্থপতি সোহেল এম. শাকুর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিদায় মানে বিদায় নেওয়া নয়। এই বিদায় মানে জীবনের নতুন যাত্রা। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি