সচেতনতা এবং একটি করোনামুক্ত নতুন ভোরের প্রত্যাশা

108

এ.এফ.এম.আখতারুজ্জামান কায়সার

করোনা- বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত একটি বিষয়। এটি প্রতিনিয়ত একটি আতংকের নাম। বিশ্বের সকল চলমান কার্যক্রমকে স্থবির করে সকলের চিন্তা-ভাবনা ও মননকে এক জায়গায় এনে দিয়েছে এ করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস হচ্ছে একটি সংক্রামক ভাইরাস- যা মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং এক জনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। এ ভাইরাসের আরেক নাম এনসিওভি বা নভেল করোনা ভাইরাস। এ বছরের ফেব্রæয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় ‘কোভিড-১৯’, যা ‘করোনা ভাইরাস ডিজিজ-২০১৯’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি এ রোগের আউটব্রেককে Public Health Emergency of International Concern (PHEIC) হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১১ মার্চ, ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ কে বৈশ্বিক মহামারী (Pendemic) হিসেবে ঘোষণা করে। ডিসেম্বর ২০১৯ এর শেষ দিকে এটি প্রথম দেখা দেয় চীনের উহান প্রদেশে। এত অল্প সময়ের মধ্যে এটি বিশ্বের ২০৯ টি দেশে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও খুবই উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ব্রিগেঃ জেনাঃ (অবঃ) ডা. আবদুল মজিদ ভুঁইয়া একটি নিবন্ধে বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ছয়বার ফ্লু ভাইরাসের মহামারীর কথা উল্লেখ করেছেন। রাশিয়ান ফ্লু (প্রথম বিশ্ব মহামারী) ১৮৮৯ -১৮৯৪ সময়কালে সংঘটিত হয়েছিল এবং এতে এক মিলেয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। স্প্যানিস ফ্লু (দ্বিতীয় বিশ্ব মহামারী) ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সময়কালে হয়েছিল এবং এতে ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী এশিয়ান ফ্লু (তৃতীয় বিশ্ব মহামারী) নামে পরিতি এবং এতে ২-৪ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী বিশ্ব ফ্লু (চতুর্থ বিশ্ব মহামারী)তে ১-৪ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সালে সংঘটিত রাশিয়ান ফ্লু (পঞ্চম বিশ্ব মহামারী) তে বিশ্বে প্রায় সাত লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট, ২০১০ পর্যন্ত স্থায়ী সোয়াইন ফ্লু (৬ষ্ঠ বিশ্ব মহামারী)তে বিশ্বে প্রায় ছয় লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া সাধারণ ফ্লু তে গড়ে প্রতি বছর বিশ্বে ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে যাদের বয়স ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব। তবে উপরোল্লিখিত কোনটিই করোনা ভাইরাসের মতো সমগ্র বিশ্বের প্রায় সকল দেশ ও জাতির ভিতকে একযোগে এত দ্রæততম সময়ে নাড়িয়ে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি করেনি। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় বিশ্ব সংকট হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মতে, কোভিড-১৯ এর সাধারণ লক্ষণসমূহ হচ্ছে ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন লাগে। প্রথমে জ্বর, এছাড়া শুকনো কাশি/ গলাব্যথা হতে পারে, শ্বাসকষ্ট/ নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়বেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/ শ্বাসকষ্ট/ হ্্রদরোগ/ কিডনী সমস্যা/ ক্যান্সার ইত্যাদি থাকলে অরগ্যান ফেইলিউর হতে পারে। এ করোনা ভাইরাস সাধারণতঃ দুইভাবে ছড়ায়। যেমনঃ শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাঁশি/কফ/সর্দি/থুতু) এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। এটি মূলতঃ আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ১ মিটার বা ৩ ফুটের কম দুরত্বে অবস্থান করলে সংক্রমিত হতে পারে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ে অনেকে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে আসছেন। এর মধ্যে অনেকগুলো তথ্য আমাদের জন্য বিভ্রান্তিও তৈরি করছে। তাই সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ উপায়গুলো জানা আমাদের জানা দরকার। আমি মনে করি, যেহেতু এটা বৈশ্বিক সমস্যা, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রস্তুতকৃত বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রচারিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের নি¤েœাক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করা দরকার, যা সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলোঃ ১. হাত ধোয়া – সাবানপানি দিয়ে অন্ততঃ ২০ সেকেন্ড হাতধোয়া, প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা য়েতে পারে। ২. কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা- মুখ ঢেকে হাঁচি কাশি দিতে হবে।, হাঁচি কাশির সময় টিস্যু পেপার/মেডিক্যাল মাস্ক/কাপড়ের মাস্ক/রুমাল/বাহুর ভাঁজে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে এবং সাথে সাথে হাত পরিস্কার করতে হবে। টিস্যু পেপার ও মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লা পাত্রে ফেলতে হবে। কাপড় বা রুমাল ব্যবহার করলে হাঁচি কাশি দেবার পর সাথে সাথেই সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ভালভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ৩. জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। জনসমাগম হয় এমন স্থানে যাওয়া পরিহার করতে হবে। এছাড়া আরও বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ বৈশ্বিক মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ, স্থলবন্দর বন্ধ, স্থানীয়ভাবে পুরো শহর, পুরো জেলা বা ক্ষেত্র বিশেষে পুরো দেশ লক্ড ডাউন করা, কারফিউ জারী সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ১৬ মার্চ, ২০২০ তারিখ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ, ২০২০ থেকে ৪ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, যা পরিস্থিতি বিবেচনায় চতুর্থ দফা বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত ঘোষণা দেয়া হয়। তাছাড়া বিভিন্ন ভবন, বিভিন্ন এলাকা, বিভিন্ন উপজেলা, বিভিন্ন জেলা লক্ড ডাউন ঘোষণা করা হয়।
আমরা সকলে ইতোমধ্যে খুব ভালভাবে অবগত যে, বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টিকারী এ কোভিড-১৯ রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। আরও জেনেছি, ইতোমধ্যে ধনী ও উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পন্ন দেশ সমূহ মহামারীতে চলে যাওয়ার পর আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে, এর কারণ হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জনসমাগমের কারণে সামাজিক সংক্রমণকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী বহুমুখী প্রচার প্রচারণার কারণে এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এবং সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে শিশু থেকে বৃদ্ধ, শহর থেকে গ্রাম, শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অবগত।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখনো অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত, রাজনৈতিক ও অন্যান্য মতদ্বৈততা থেকে মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম শুরু করতে পারছেনা। কেউ কেউ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করলেও কেউকেউ তিরস্কার করতেও দ্বিধা করছেনা। যখন করোনা সংক্রমণের ফলে কোন এলাকা লক্ড ডাউন হয়, তখন প্রয়োজনে বা কেউ কেউ অপ্রয়োজনে লক্ড ডাউন ভেঙে বেরিয়ে পড়ছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আসলে গলির ভিতরে গিয়ে পরক্ষণেই আবার বেরিয়ে রাস্তায় এসে বিজয়ীর হাসি হাসছে। সারক্ষণ সরকার বা অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের দোষ খুঁজে চলছে। তবে আমরা এও জানি, বর্তমানে অনেক লোক কর্মহীন হওয়ায়, পেটের দায়ে অনেকে রাস্তায় আসতে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের জন্য সরকারি সহায়তা ছাড়াও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে সাহায়্যের হাত বাড়িয়েছে, আবার কেউ কেউ এই ভয়ংকর সময়েও সরকারি ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত, আর অনেক সাধু মিলে আত্মসাতকারী কোন দলের তা খুঁজতে ব্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের প্রদত্ত তথ্যকে অবিশ্বাসের চোখে দেখছে। যেমনঃ কোনদিন করোনা অক্রান্ত কম পাওয়া গেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করা হচ্ছে সরকার গোপন করছে, এমন অবস্থা যেন অনেক বেশী আক্রান্ত পাওয়া গেলেই ঠিক হতো। অথচ আমাদের নাগরিকদের মূল দায়িত্ব, শুধুমাত্র ঘরে থাকার মাধ্যমে নিজেদেরকে এবং সমাজকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সহায়তা করা, সেই নাগরিক দায়িত্বটুকু ভালভাবে পালন করছিনা।
আমরা সাধারণ জনগণ বেশী আলোচনা করছি, টেস্ট কিট, পিপিই, হাসপাতালের আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন নিয়ে, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়ে। তবে আশার কথা, বিশ্বে ৮২% করোনা রোগী সুস্থ হচ্ছে নিজ বাসায়। সবার জন্য রোগীর আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন লাগে না। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন প্রস্তুত থ্কা দরকার। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, রোগীদের চিকিৎসা সুবিধার মধ্যে প্রয়োজন যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও আইসিইউ। এখানে আইসিইউর গুরুত্বটাই বেশী দেয়া হয়েছে। প্রতি লাখে মানুষের বিপরীতে জার্মানিতে আইসিইউ শয্যা সুবিধা ২৯টি, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪, ইতালি ১২ আর স্পেনে ১০ টি। শেষের দুই দেশে মৃত্যুহার অন্য দেশগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশী। কিন্তু উল্টো চিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায়। মাত্র লাখে ১০টি। তারপরেও সেখানে মৃত্যুহার অনেক কম। এক ভাগের নিচে। দ্রæত সংক্রমণের হারও কমিয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে, হোম কোয়ারেন্টাইনের কঠিন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ বর্তমানে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে রয়েছে। চতুর্থ স্তরের দ্বারপ্রান্তে। চতুর্থ স্তর মহামারী হলে তার নিয়ন্ত্রণ কতটা দুঃসাধ্য এবং আমাদের দেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশের জন্য তা কতটুকু ভয়ংকর হতে পারে তা আমরা যুক্তরাস্ট্র, ইতালী, স্পেনসহ অন্যান্য কিছু দেশের দিকে তাকালে বুঝতে পারি।
সারা বিশ্ব আজ কঠিন সময়ের মুখোমুখি। বিশ্ব অর্থনীতি আজ নতুনরূপে আবির্ভুত হচ্ছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। মন্দার হাওয়া সবখানেই লাগতে শুরু করেছে। এটি যেহেতু বৈশ্বিক সমস্যা তাই বাংলাদেশ সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মোতাবেক কাজ করছে। তাই প্রত্যেক নাগরিককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সব স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলা উচিত। মানুষ বাসা বাড়ি থেকে বের না হলে সংক্রমনের ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যায়। মনে রাখতে হবে, অসাবধানতায় যে কেউ যে কোন সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। কাজেই বাঁচতে হলে ঘরে থাকার বিকল্প নেই। একান্ত প্রয়োজনে বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। তাছাড়া বিভিন্নসময়ে সরকার ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনাও যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এসবগুলো মেনে চলতে হবে। আমরা আশাহত হতে চাইনা। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, যদি এখনো বাঙালি জাতি ধৈর্য ও সচেতনতার পরিচয় দেয় এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলে, তবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রæত বিজয়ী হওয়া সম্ভব। আমরা সেই করোনামুক্ত নতুন ভোরের প্রত্যাশায় রইলাম।
লেখক: রেজিস্ট্রার, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ