সংস্কৃতে কথা বললে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি : বিজেপি এমপি

47

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ‘সহজ সমাধান’ হাজির করেছেন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক এমপি। গনেশ সিং নামের এই এমপি দাবি করেছেন, প্রতিদিন সংস্কৃত ভাষায় কথা বললে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভারতীয় স¤প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এখবর জানা গেছে।গণেশ সিং আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এক গবেষণায় জানিয়েছে, যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সংস্কৃত ভাষায় করা হয় তাহলে তা ত্রুটিমুক্ত হবে। বিজেপি এমপি গণেশ সিং বলেন, কয়েকটি ইসলামিক ভাষাসহ বিশ্বের প্রায় ৯৭ শতাংশেরও বেশি ভাষা সংস্কৃতের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। এই বিলটির বিষয়ে বলতে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গি বলেছেন, এই ভাষাটি খুবই নমনীয় এবং একটি বাক্য এই ভাষায় বিভিন্নভাবে বলা যেতে পারে।
তিনি দাবি করেন, ব্রাদার ও কাউ-এর মতো বিভিন্ন ইংরেজি শব্দ সংস্কৃত থেকেই এসেছে। প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গি বলেন, এই প্রাচীন ভাষার প্রচারের ফলে অন্য কোনও ভাষার উপর প্রভাব পড়বে না। এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল দাবি করেছিলেন, নাসা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি কথা বলা কম্পিউটারের কল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তা সম্ভব হবে সংস্কৃত ভাষার জন্য। আইআইটি-বোম্বের ৫৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রমেশ পোখরিয়াল সংস্কৃতকে একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত ভাষা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সংস্কৃত একটি বিজ্ঞানসম্মত ভাষা যেখানে শব্দগুলি যেভাবে উচ্চারণ করা হয় ঠিক সেভাবেই লেখা যায়। এই মন্ত্রী আরও দাবি করেন, আয়ুর্বেদের জনক হিসেবে পরিচিত ঋষি চরকই প্রথম ব্যক্তি যিনি নিরন্তর গবেষণা করে অণু ও পরমাণু আবিষ্কার করেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কে অণু ও পরমাণু নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন? ঋষি চরকই অণু ও পরমাণু নিয়ে গবেষণা করে এগুলি আবিষ্কার করেছিলেন।’ তার আরও দাবি, প্রাচীন যুগের চিকিৎসক সুশ্রুতই ছিলেন বিশ্বের প্রথম শল্য চিকিৎসক।