প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচদিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় নগরীর দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান ও ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মাহমুদ দিদার, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক এবং শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশ একটি সংস্কৃতিঋদ্ধ দেশ হোক। একটি দেশের পরিচয় তার লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। একটি দেশের পরিচয় তার নাটক, তার সাহিত্য, তার সংগীত ও তার বিজ্ঞান-এসব মিলিয়েই। একটা দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তাকে সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশকেও সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি অচ্ছেদ্য। এ কারণেই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। পাঁচদিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী তারই উদাহরণ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৬ কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। প্রত্যেকের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গভীর বেদনাদায়ক ঘটনা রয়েছে, স্মৃতি রয়েছে। এসব ঘটনা ও স্মৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণের উপযোগী। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এসব চলচ্চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখানো দরকার, শিক্ষার পাশাপাশি যেন তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অবগত হতে পারে।
তিনি ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বলেন, এই চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে।
‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মাহমুদ দিদার চলচ্চিত্রটি নির্মাণের ইতিহাস বর্ণনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
