সংবিধান সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে

17

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, সংবিধান আমাদের সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি। দেশের যেকোন দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ সব সময় জনতার কাতারে থেকে কাজ করেছে এবং করছে।
তিনি বলেন, ত্রিশ লাখ জীবনের আত্মাহুতি বৃথা যাবে না। স্বাধীনতা বিরোধী ও তথাকথিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের রুখে দিয়ে দেশে শান্তি-সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।
তিনি গতকাল রবিবার সকালে বাঁশখালী উপজেলায় সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
বাঁশখালীর বিভিন্ন মন্দিরে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও উন্নয়নকর্ম যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা দেশের শত্রু, তাদের যেকোনভাবে প্রতিহত করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে সব ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের এ রক্তস্নাত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোন ধর্মাবলম্বীকে অবহেলা বা অবমূল্যায়ন করা চলবে না। এ বোধকে লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার ও সকলের ধর্ম-কর্ম পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্তরিক। সব ধর্মের জন্য তিনি ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যে কোন উৎসবে আমরা সবাই একাত্ম হই। এর বহু নজির রয়েছে। এ ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার মধ্যদিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত আমাদের গৌরব, মর্যাদা ও যুগোপযোগী উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির নেতৃত্ব দানকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শেষ আশ্রয়।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সবসময় আমাদের জন্য হুমকি। অসুর সমতুল্য এদের সর্বত্র প্রতিরোধ করতে না পারলে সম্প্রীতি, শান্তি ও উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, উপ দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার চৌধুরী, চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ইয়াসিন, আওয়ামী লীগ নেতা কফিল উদ্দিন, ডা. আশীষ সেন, আ ন ম ফরহাদ আলম, শিহাবুল হক সিকদার, শেখ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, ছাত্রনেতা নাঈম মাহফুজ, মিজানুর রহমান, সাজ্জাদ শাওন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি