চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর অস্বচ্ছল নরসুন্দর ও চর্মকারদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ৩৫০ প্যাকেট উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৩৫০ জন নরসুন্দর ও চর্মকারের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ছোলা, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি ও ১টিঁ সাবান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন অনিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমূখ। স্বেচ্ছাসেবক টিম সিপিপি, বেটার ফিউচার বাংলাদেশ, পুর্বাশার আলো, রেড ক্রিসেন্ট, তৃণমুল নাট্যদল, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও নির্বাণ ক্লাব ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন। ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি বলেন, করোনা প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া কোন অসহায় মানুষ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখাশোনা করার জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজের অস্বচ্ছল মানুষের হাতে সরকার প্রদত্ত উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কোন হতদরিদ্র পরিবার যাতে সরকারী সহযোগিতা থেকে বাদ না যায় তা কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবে না।
নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছেন বা সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে মজুদ থাকা ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে নগরীতে এ পর্যন্ত ৩ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়েও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সবাই কাজে ফিরে যাবো। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি