ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ জাতীয় কমিটির

11

যাদের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেছে, এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনা ভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি। পরামর্শক কমিটির ৪৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গতকাল সোমবার কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিডের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় কমিটির কাছে মতামত চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী কমিটি বৈঠক করে তাদের সুপারিশ জানিয়েছে। কোভিডের নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত টিকা নিশ্চিত করে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনার, যাদের দুই ডোজ টিকা অন্তত ছয় মাস আগে দেওয়া হয়েছে, এমন জনগোষ্ঠীকে কোভিডের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সারাদেশে ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৬ জন টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। আর তাদের মধ্যে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৯১ জন দুটি ডোজ পেয়েছেন। এই হিসাবে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মোটামুটি এক চতুর্থাংশ কোভিড টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় ধনী কিছু দেশ বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে নাগরিকদের, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ। অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে ছিলেন না বাংলাদেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর এখনও দেশেও টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, দুই ডোজ টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে না, সেজন্যই বুস্টার প্রয়োজন। এরই মধ্যে তিন ডজন দেশে করোনা ভাইরাসের এই নতুন ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। দুদিন আগে বাংলাদেশেও দুজনের মধ্যে এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বুস্টার ডেজ চালাতে গেলে হাতে পর্যাপ্ত টিকাও থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সরকারের হাতে এখন ৪ কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। খবর বিডিনিউজের
বুস্টার ডোজের ‘প্রস্তুতি নিতে বলেছেন’ প্রধানমন্ত্রী : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ‘ওমিক্রন’ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে টিকার বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ওমিক্রন’ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে বিশেষ করে ওমিক্রন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। খুবই কেয়ারফুল থাকতে বলা হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্প্রেড করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা বুস্টার ডোজের জন্য রিকমেন্ড করেছে। আমাদের দেশেও কীভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া যায় সেটা চিন্তাভাবনা চলছে’।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক উপস্থিত ছিলেন। উনাদের সঙ্গে বুস্টার ডোজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে যাতে রেডি থাকেন। বুস্টার ডোজ কী ফ্রিতে দেবে না কি অনপেমেন্টে দেবে, এই জিনিসগুলো ওনারা আলোচনা করে একটা নীতিমালা করবেন। খবর বিডিনিউজের
অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে ছিলেন না বাংলাদেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর এখন দেশেও টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বুস্টার ডোজ শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বুস্টার ডোজ শুরুর দিন তারিখ ঠিক করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় বার বার রিকোয়েস্ট করেছেন। উই হ্যাভ টু বি ভেরি ভেরি কেয়ারফুল। সাউথ আফ্রিকা থেকে আমরা প্রোটোকল নিয়েছি। তারা বলেছে এটা খুব দ্রæত বিস্তার লাভ করে। যদিও এর ভয়াবহতা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মতো নয়। বুস্টার ডোজ কবে দিলে ভাল হয় সেটা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তবে এখনও দিন তারিখ ঠিক হয়নি’।
একই দিন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি ৬০ বছরেরে বেশি বয়সী ব্যক্তি এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাদের করোনা ভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আফ্রিকা ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের দেহে ‘ওমিক্রন’ এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তারা ‘ভালো আছেন’ এবং নতুন করে কেউ শনাক্ত হননি। ‘ওমিক্রন’ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তারা আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে সফর করে স¤প্রতি দেশে ফিরে আইসোলেশনে রয়েছেন।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় ধনী কিছু দেশ বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে নাগরিকদের, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সারাদেশে ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৬ জন টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। আর তাদের মধ্যে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৯১ জন দুটি ডোজ পেয়েছেন। এই হিসাবে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মোটামুটি এক চতুর্থাংশ কোভিড টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। খবর বিডিনিউজের