শ্রেষ্ঠদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পবিত্র শবে কদর

186

এম সাইফুল ইসলাম নেজামী

শিরোনাম দেখে কিছুটা বিচলিত হলেন, তাই না? চলুন সামনে যাওয়া যাক। সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রিয় নবী (দ.) এ ভূ-লোকের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের এক মজলিসে বনী ইসরাইলের শামউন নামক একজন আবেদ-জাহিদের সুদীর্ঘকালের কঠোর সাধনা সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। যে মহান ব্যক্তি বিরতিহীন এক হাজার মাস সিয়াম ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে রত থাকতেন এবং রজনীব্যাপী জেগে আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত করতেন। উপস্থিত সম্মানিত সাহাবায়ে কেরাম জগৎগুরু মুহাম্মদ (দ.)’র মুখে এ ঘটনা তথা আল্লাহর এ নেক বান্দার কঠোর সাধনার কথা শুনে আফসোসের সুরে বলতে লাগলেন, “হায়! আমরাও যদি ওই সৌভাগ্যবানের মতো দীর্ঘায়ু পেতাম, তাহলে আমরাও ওই রকম ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে দিবস-রজনী অতিবাহিত করতে পারতাম।” ঠিক এসময় খোদার ইবাদত ও নবীর সন্তুষ্টি পাগল সাহাবায়ে কেরামের মনে প্রশান্তির হাওয়া তুলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন এক মহা সুসংবাদ! “নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। (হে হাবিব) আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী ? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম সমভিব্যা হারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা পর্যন্ত।” (সূরা আল-কদর) এ সূরায় সাধারণ চোখে এখানে শুধু শবে কদরের বর্ণনা পরিলক্ষিত হলেও অনুসন্ধিৎসু চোখ মত্রই এখান থেকে খুঁজে নিবেন প্রিয় নবীর শ্রেষ্ঠত্ব, উম্মতে মুহাম্মদির বিশেষত্ব! মহামহিম রব্বে তায়ালার অমূল্য এ বাণী থেকে আমি একজন অনুসন্ধানী মানুষ হিসেবে আমার গবেষণাও সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের মধ্যে সেরাদের সেরা সেরা নবীর উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে নেওয়া। যদি আপনি প্রশ্ন করে কীভাবে? তখন আমার উত্তর হবে আপনি ধৈর্য নিয়ে এ আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়তে মন স্থির করুন। উত্তর আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ কত মহান তা গবেষণায় তুলে আনার যোগ্যতা আমার নেই। তবে আমি যা বুঝতে পেরেছি তা প্রকাশে বাধাও নেই। ভালো কাজের স্পর্শ পাওয়ার আকুতি আল্লাহ কতটুকু পছন্দ করেন তা সূরা কদর অবতীর্ণের প্রেক্ষাপটই জানান দেয়। উত্তম কাজের নাগল না পাওয়ার আফসোস যে আল্লাহর কাছে কত প্রিয় তা আমি এ প্রবন্ধ রচনায় আত্মনিয়োগ না করলে বুঝতে পারতাম না। মদিনার মুনিব বনী ইসরায়িলের আবেদ-জাহেদ সেই ব্যক্তির হাজার মাসের ইবাদত ও খোদার রাহে জিহাদের কথা উপস্থাপন করতেই সে মহা সুযোগ না পাওয়ায় সাহাবায়ে কেরামের মুখে আফসোসের আকুতি! আফসোস করতে দেরী নাই এদিকে মালিকে হাকিকির দিতেও বিলম্ব নাই। দিলেন ত দিলেন, দু’হাত ভরে দিলেন বললে হক আদায় হবে না বরং প্রত্যাশার চেয়ে কোটিগুণ বেশি দিলেন। সাহাবিরা চাইলেন হাজার মাস ইবাদতের সুযোগ। আর আমার প্রভু দিলেন একটি মাত্র মহান রাত! যে রাতের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়েও বেশি। যদি এক হাজার মাস হায়াত দেওয়া হতো তবে তা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় যে বান্দার জন্য অসম্ভব তা আল্লাহ অধিক জ্ঞাত। তাই এক রাতেই হাজার মাস ঢুকিয়ে বান্দার প্রতি পরম ইহসান করেছেন প্রভু। যে একটা রাতের ইবাদত হাজার মাস দিবস রজনী বিরতিহীন ইবাদতের চেয়েও বেশি। হ্যাঁ সে রাতের নাম ‘লাইলাতুল কদর’। এমন বরকতময় রাত অন্য কোন সম্মানিত নবীর উম্মতের কপালে জুটেনি। এ মর্যাদাপূর্ণ রজনী আমাদের যোগ্যতায় পেয়েছি এমনটা ভাবলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। হাজার বছর ইবাদত করেও অন্য নবীর উম্মতরা এমন সম্মান পায়নি। আপনার আমার আপাদমস্তক ভুল কয়েক বছরের ইবাদতে আল্লাহ এমন সম্মান দিয়েছেন? না না। এ রাত শ্রেষ্ঠ নবীর বদান্যতায় পেয়েছি। আল্লাহ সর্বদা চান তাঁর বন্ধুর সন্তুষ্টি। বন্ধু মুহাম্মদ (দ.)-কে খুশি করাই আল্লাহর অভিপ্রায়। আর বন্ধু খুশি হন উনার উম্মতদের ভালোবাসলে। তাই রব্বে কায়েনাত বন্ধুর ফলোয়ারদের জন্য এ মহান নিয়ামত (শবে কদর) দান করে নবী উম্মতদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদেরকে যে রাত উপহার দিয়ে অন্যদের চেয়ে সেরা প্রমাণ করেছেন সে রাত সম্পর্কে না জানলে তাজিমে ভুল হবে। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী, ইংরেজি প্রতিশব্দ ঐড়হড়ৎধনষব ঘরমযঃ। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। ওলামায়ে কেরামের মতে যেহেতু এ রজনী অত্যন্ত মহিমান্বিত ও সম্মানিত তাই এ রজনীকে লাইলাতুল কদর বলা হয়ে থাকে। আবার এ রাত্রে যেহেতু পরবর্তী এক বৎসরের অবধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় সে কারণেও এ রজনীকে কদরের রজনী বা ভাগ্য রজনী বলা হয়। আবার কেউ কেউ এমনও বলেন, যে ব্যক্তি গোনাহ ও আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে তার কোনো সম্মানই ছিলো না, এই রাতে ইবাদত, তওবা, ইস্তেগফার ও জিকির দ্বারা সে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ্য থেকে বিশেষ সম্মান লাভ করে তাই একে শবে কদর বা ‘সম্মান লাভের রাত্রিথ বলা হয়। এ কথা সর্বজন বিদিত যে, রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। শবে কদর কোরআন নাজিলের রাত যেটা কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত জিবরাইল (আ.)’র মাধ্যমে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (দ.)-এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। এ প্রসঙ্গে সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন: “রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে।” শবে কদরে হজরত জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট বহর নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন। লাইলাতুল কদরে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাদের লিখে দেওয়া হয়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনা মতে, চারজন প্রধান ফেরেশতাকে এসব কাজে বিশেষভাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁরা হলেন: হজরত ইসরাফিল (আ.), হজরত মিকাইল (আ.), হজরত আজরাইল (আ.) ও হজরত জিবরাইল (আ.)। কিতাবের ভাষ্যমতে সহস্র মাস ইবাদতে যে সওয়াব হয়, কদরের এক রাতের ইবাদত তার চেয়ে অতি উত্তম। লাইলাতুল কদরের অপার মহিমা ও ফজিলতময় রাতে মুমিন মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত, বরকত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। এ রাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করা যায়। নবী করিম (দ.) ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।” অন্য বর্ণনায় আছে, “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে আত্মসমর্পিত হৃদয় নিয়ে ইবাদতে কাটাবে, আল্লাহ তার ইজ্জত ও মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।” বুখারী শরীফের হাদিস, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক (দ.) এরশাদ করেন: “যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (দ.) আরও এরশাদ করেন: “যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে।” আলহামদুলিল্লাহ। তিরমিজি শরীফের হাদিস, আম্মাজান হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দয়াল নবী (দ.)-কে জিজ্ঞেস করি, যদি আমি জানতে পারি যে, আজ রাতেই শবে কদর তাহলে আমি কোন দোয়টা পড়বো? রাসূলে পাক (দ.) ফরমান, এই দোয়াটা পড়বে “আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুব্বুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাতফু আন্নী” (হে আল্লাহ আপনি বড় ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।) এ বর্ণনা আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনার ইঙ্গিত বহনকারী। শবে কদরে আমরা যেন আমাদের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা চাই সে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে এ হাদিসের মারফত। মূলত লাইলাতুল কদরে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবেন, তাঁর জন্য দোজখের আগুন হারাম করে দেওয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত পাঠক মহান উপরোল্লিখিত হাদিসে নববী থেকে শবে কদরের ইবাদতে একটা গাইডলাইন আমরা পেলাম। যেমন, কদরের রাতে তারাবি-তাহাজ্জুদসহ অধিক নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর জিকির, একাগ্রচিত্তে দোয়া-দরুদ, কবর জিয়ারত, পিতা-মাতার ও নিজের অতীত পাপমোচনে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণই মুমিন বান্দাদের অন্যতম প্রধান কাজ। রাসুলুল্লাহ (দ.)-এর বাণী, “সিজদায় বান্দা তার প্রভুর অধিকতর নিকটবর্তী হয়ে থাকে। তাই তোমরা বেশি বেশি দোয়া করো।” শবে কদরের মর্যাদায় এতো অধিক সংখ্যক হাদিশ শরীফ আছে যা বর্ণনাতীত। তাই হাদিস বর্ণনা এখানেই থামালাম। এ প্রবন্ধ পড়তে পড়তে পাঠকদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে , যে রাতের এতো মর্যাদা ও সম্মানের কথা পড়ে যাচ্ছি, যে রাত উম্মতে মুহাম্মদির শ্রেষ্ঠত্বের প্রকৃষ্ট দলিল, আসলে সে রাতটাই বা কখন আসে? এ রাত চেনার উপায় কী? কীভাবে এ রাত পাওয়া যাবে? হ্যাঁ সব প্রশ্ন যদি আপনাদের মনের অজান্তেই চলে আসে তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক। মর্যাদা বুঝার পর চেনাটা ফলপ্রসূ হয়। তাই আমি শবে কদরের মর্যাদা বর্ণনার পর সে রাতের সন্ধান দিতে যাচ্ছি। মুসলিম শরীফের বর্ণনায় পাওয়া যায়, রাসুলুল্লাহ (দ.) রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, “তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো।” তিনি আরও বলেন, “মাহে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবে কদর সন্ধান করো।” আল্লামা এম এ মান্নান অনুদিত কানযুল ঈমান ও খায়াইনুল ইরফান তফসির গ্রন্থে সুরা কদরের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে, এ রাত বছরে একবারই আসে। বহু সংখ্যক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঐ রাত রমজানুল মুবারকের শেষ তৃতীয়াংশেই হয়ে থাকে। অধিকাংশ ইমামের মতে তাও এ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোর কোন একটা রাতই হয়। বায়হাকী শরীফের বর্ণনা মতে রাসূল পাকে (দ.) এ রাতে কিছু আলামতের বর্ণনা দেন। আলামত সমূহের কিছু হলো, ওই রাতটা নির্মল ঝলমলে হবে, নিঝুম নিথর-না অধিক গরম, না অধিক ঠাÐা বরং সবকিছু মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকবে। ওই রাতের আকাশ, চাঁদনী রাতের মতো মনে হবে। ওই রাতে সকাল পর্যন্ত শয়তানের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয় না। উহার আরো একটি আলামত হচ্ছে পরদিন সকালে সূর্য কিরণবিহীন একেবারে গোলাকার পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উদিত হয়। নাজাত পর্বের কোন বেজোড় রাতে শবে কদর তা নিয়ে ওয়ালামে কেরামের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও ইমামে আজম আবু হানিফার মতে রমজানুল মুবারজের ২৭তম রাতেই শবে কদর হয়। এ দাবির পক্ষে মুসলিম শরীফের হাদিস, উবাই ইবনে কাব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূলে পাক (দ.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমজানের ২৭তম রজনী। আব্দুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক (দ.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭শে রজনীতে অনুসন্ধান করে। যে রাতের ফজলতে সুরা কদর নাজিল হয়েছে। সুবহানাল্লাহ। মাজহাব আমাদের জীবনে কতটুকু প্রাসঙ্গিক তা ইমাম আজমের গবেষণা কর্ম নিয়ে গবেষণা না করলে বুঝা দুষ্কর। আবহমান কাল থেকে সারা বিশ্বে ২৭ রমজান শবে কদর পাতিল হয়ে আসছে সেটা ইমামে আজমের ইজতিহাদের ফল। আল্লাহ ইমামে আজমকে জান্নাতের সুউচ্চ স্থানে আসীন করুন। আমিন।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও সংগঠক