শ্রেণিকক্ষে নয়, মাঠেই ক্লাস করবেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা

19

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা ঝুকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস না করে মাঠে ক্লাস করবে বলে শর্ত দিয়েছেন। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি আদায়ের কোনো অগ্রগতি দেখা না হলে পুনরায় আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধিও ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, তারা আমাদের জানিয়েছেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবির বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখবেন। জেলা প্রশাসকও এ নিয়ে নিজ উদ্যোগে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত করে শ্রেণিকক্ষে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা এটাও জানিয়েছি যে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করব না, আমরা চারুকলা প্রাঙ্গণে খোলা মাঠে ক্লাস করব। শ্রেণি কার্যক্রমের ফেরার জন্য আমাদের আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক ক্লাব অপসারণ করে সেখানে মেয়েদের আবাসন ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ক্যান্টিন ও শৌচাগারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান থাকতে হবে।
এ বিষয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অচলাবস্থা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে। তবে আমরা আজকে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রকৌশল দপ্তর থেকে লোক সেখানে গেছে।
স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসক চিঠি দিবে বলেছেন। পাশাপাশি তাদের আর যে দাবি-দাওয়া ছিল সেটা নিয়ে আজ থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন সমস্যা ও সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসহ মোট ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন।