শ্রমিক ধর্মঘটে অচল ভারত

33

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘শ্রমিক বিরোধী’ নীতির প্রতিবাদে ১০টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটে ভারতজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কয়লা, স্টিল, বিদ্যুৎ, ব্যাংক, বীমা ও পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকরা এ ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। কৃষক ও ছাত্র নেতারাও ধর্মঘটের সমর্থনে মাঠে নেমেছে।
মঙ্গলবার ধর্মঘটের প্রথম দিন পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও কেরালা রাজ্যে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম বঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা বাস ভাংচুর করেছে এবং টায়ারে আগুন দিয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি। সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের (সিটিইউ) প্রায় ২০ কোটি শ্রমিক এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। কলকাতা, আসানসোল ও হুগলি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আসানসোলে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বারাসাতে একটি স্কুল বাস ভাংচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। রেললাইন অবরোধ করায় ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মঘটের বিরোধিতা করে বলেন, “আমরা সব ধরনের ‘বন্ধ’ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যথেষ্ট হয়েছে। গত ৩৪ বছর ‘বন্ধ’ ডেকে তারা (বামপন্থিরা) রাজ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে।” উড়িষ্যায় কয়েকটি জায়গায় ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যরা বিক্ষোভ করে এবং টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। কেরালায় রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। রাজ্যের রাজধানী থিরুভানানথাপুরামে সড়কে এদিন বাস চলাচল খুবই সীমিত ছিল।
পূর্ব দিলি­তে অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে। তারা সর্বনিম্ন মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবিতে স্লোগান দেয়। ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিবহন সেক্টরে সর্বনিম্ন মজুরি ২৪ হাজার রুপি করার দাবিও জানায় তারা। এনডিটিভি জানায়, বিক্ষোভকারীরা বুধবার পার্লামেন্ট অভিমুখে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছে। দেশজুড়েও একই ধরনের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা