শোষণ মুক্তির লড়াইয়ে সূর্য সেন প্রেরণা

15

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবসের ৯২তম বার্ষিকীতে বিপ্লবীদের স্মরণ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা। এসময় বিপ্লবীদের ইতিহাস সংরক্ষণসহ পাঠ্যপুস্তকে তাদের জীবনী যুক্ত করার দাবিও জানান নেতারা।
গতকাল সোমবার নগরের জে এম সেন হল প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের সর্বাধিনায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাসদের নেতাকর্মীরা।
সভায় বাসদ নেতারা বলেন, আজ যখন সর্বাত্মক সংকটের ঘোর অন্ধকার দেশের আকাশে, দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি-মূল্যবোধ সবকিছুতে পচন ধরেছে, তখন সূর্য সেনের মহৎ চরিত্র ও সংগ্রাম আমাদের পথ দেখায়। পুঁজিবাদ-সা¤্রাজ্যবাদী শোষণ-শাসন থেকে মুক্তির লড়াইয়ে মাস্টারদা সূর্য সেন বিরাট প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
তারা বলেন, ১৯৩০ সালে ১৮ শে এপ্রিল বীর চট্টলার সূর্য সন্তান মাস্টারদা সূর্য সেন এর নেতৃত্বে সংঘঠিত হয়েছিলো চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার স্বপ্নে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান এবং ৭১ এ স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবীদের সম্মান ও ইতিহাস রক্ষার কোন কর্মসূচি সেভাবে নেওয়া হয় না। পরবর্তী প্রজন্মকে বিপ্লবীদের জীবনগাঁথা জানাতে পাঠ্যপুস্তকে তাদের বীরত্বের সংগ্রাম সংযুক্ত করা উচিত।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলার নেতা মহিন উদ্দিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবস স্মরণে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগরের পক্ষ থেকেও মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের স্মরণে নিরবতা পালন এবং রেড স্যালুট (লাল সালাম) দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ হয়। নগরের দামপাড়া এলাকায় তৎকালীন পুলিশ ব্যারাকের অস্ত্রাগার দখল করে নেন বিপ্লবীরা। সেখানেই অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর চারদিন স্বাধীন ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তিন ঘণ্টার সেই যুদ্ধে ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয় এবং ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। বিজ্ঞপ্তি