শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস গতকাল উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্ম এবং অভ্যুদয়ের ইতিহাসে যে নামটি সর্বপ্রথম আসে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ইতিহাসের অংশই শুধু নন, ইতিহাসের স্রষ্টাও। এই ইতিহাস কেউ কখনও মুছে দিতে পারেনি এবং পারবেও না। শোষিতের বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।

নগর আওয়ামী লীগ :
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এটা বাস্তবায়নের পথে এখনও বহু বাঁধা বিদ্যমান। সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি ও তাদের দোসররা এখনো মাঠে আছে। তাদেরকে নির্মূল করতে না পারাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার আমরা যদি না নিই নতুন প্রজন্ম আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
গতকাল মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা ছিল সামাজিক বৈষম্যমুক্ত একটি বিশুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজে শোষিতরাই হবে প্রকৃত ক্ষমতার উৎস। কিন্তু আজ স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি ধণিক শ্রেণি অক্টোপাসের মতো এদেশের সমাজ ও রাজনীতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। গড় পড়তা আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়ে গেলেও ধনী-গরিবের বৈষম্য দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। একই সাথে যারা গরিব মানুষের হক কতল করছে এবং অসাধু ব্যবসায়ী ও মুনাফালোভীরা নানা কৌশলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট করছে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরুর করার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদক মÐলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের আবুল মনসুর, হাজী সিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, জামাল উদ্দীন, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, আব্দুল আজিম, নুর মো. নুরু, লায়ম আশিষ ভট্টাচার্য, মিথুন বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, বখতেয়ার উদ্দীন খান, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্লাহ চৌধুরী ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

চসিক :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে টাইগারপাস কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিতে। তার জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেওয়া যেতো না। বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। দিবসটি উপলক্ষে মেয়রের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও চসিকের সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. আবদুস সালাম মাসুম, জহর লাল হাজারি, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আতাউল্লা চৌধুরী, গোলাম মো. জোবায়ের, নুরুল আমিন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আনজুমান আরা, রুমকি সেনগুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসারক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, উপ-সচিব আশেকে রাসুল টিপুসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সিবিএ নেতৃবৃন্দ এবং চসিক পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সভার শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ‘দেশ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ’র উদ্যোগে ‘পবিত্র ইসলাম ধর্মের জন্মকথা, মুসলিম উম্মাহ ও বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মেয়র। প্রদর্শনীটি ২৬ মার্চ পর্যন্ত লালদিঘি মাঠে চলবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন :
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করা হয়। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই মহানগর-জেলা, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, আরআরএফ, সিআইডি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সমাজসেবা কার্যালয়, বিআরটিএ, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেলের কার্যালয়, আনসার-ভিডিপি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ ও জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল।
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘ব’ তে বঙ্গবন্ধু ‘ব’ তে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এ দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। একটা সময় পাঠ্যপুস্তক থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল, সে কারণে অনেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানে না। আমি ছোট্ট শিশুদের প্রতি আহŸান জানায় তোমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর সাহসকে তোমাদের মনে ধারণ করো। জীবনকে গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এগিয়ে যেতে হবে। ভয়ভীতি ত্যাগ করে মানুষের তরে জীবনকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তবেই আমরা বিশে^র কাছে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।
জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে শিশুদের প্রস্তুত হতে আহŸান জানাই। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার জীবন কাহিনী বর্ণনা করে শিশুদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে মিলাদ মাহফিল, দোয়া প্রার্থনা করা হয় এবং সন্ধ্যায় শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিভাগীয় তথ্য অফিস, জেলা তথ্য অফিস এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সারাদিন ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস ও জিইসি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় এবং ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জাকরণের ব্যবস্থা করা হয়।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ :
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা আন্দরকিল্লা কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই ১৯৭১ সালে পূরণ হয়েছিল। সেদিনের পশ্চাদপদ সমাজ ব্যবস্থায় তার জন্ম হলেও বহুমাত্রিক গুণ নিয়ে ছোটবেলা থেকেই তিনি গড়ে উঠেছিলেন। বুদ্ধি, সাহস, স্পষ্টবাদিতা ও আপসহীন মনোভাব তাকে এক গুণী নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করেছিল। স্কুলেও তাঁর উত্থান ছিল ব্যতিক্রম, বঙ্গবন্ধুর জন্ম বাঙালির জন্য বিধাতার আশীর্বাদ। বঙ্গবন্ধু, যার জন্ম হয়েছে বাঙালি তথা নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য।
বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, এডভোকেট মুজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, এডভোকেট জহির উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, খোরশেদ আলম, আব্দুল কাদের সুজন, আবদুর রহিম, বোরহান উদ্দিন এমরান, এডভোকেট আব্দুর রশিদ, মো. জসিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, সদস্য এম ছিদ্দিক আহমদ, নাছির উদ্দিন, নঈমুল হক পারভেজ, মুজাহিদ বিন আলম, মৃদুল কান্তি দাস, চৌধুরী আবুল কালাম, বশির উদ্দিন মুরাদ, বাবর আলী ইনু, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মমতাজ উদ্দিন, সেলিম হোসেন, ডা. আর কে রুবেল, রাশেদুল আরেফিন জিসান, মিজানুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, কে এম পারভেজ, চৌধুরী মো. তানভীর, ইয়াছিন চৌধুরী জনি, মো. মোছাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় :
চবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। এতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্লে গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৩৫০ জন শিশু অংশ গ্রহণ করে। গতকাল সকাল সাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপাচার্য। এসময় চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে খুবই ভালবাসতেন। আজকের শিশুরা আগামী দিনে জাতির ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা এ মহান ব্যাক্তিত্বকে গভীরভাবে জানার ও চেনার সুযোগ পাবে এবং তাঁর আদর্শকে ধারন, লালন ও চর্চায় উৎসাহিত হবে।
এছাড়া চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর সুফিয়া বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার।