শেষ রক্ষা হয়নি ম্যাচ জমানো নেপালের

5

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

কিক অফের একটু পরই মিলল গোল। ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলও এলো দ্রুত। পাল্টা জবাব দিতে মরিয়া নেপালও পেল জালের দেখা। জমে উঠল সমমানের দুই দলের ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি সঙ্গী হলো বাংলাদেশেরই।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। আকলিমা খাতুন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। শেষ দিকে দলের জয় নিশ্চিত করেন শাহেদা আক্তার রিপা।
ভারত ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাসও সঞ্চয় করে নিল বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগে রবিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। শুক্রবারই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে ১২-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ভারত।নেপালকে হারিয়ে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতে সেই নেপাল প্রতিপক্ষ বলেই হয়ত গ্যালারিতে সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। রূপনা-ইতিরা মাঠে নামতে হর্ষোল্লাসে মেতে উঠল গ্যালারি। কিক অফের পর ঘড়ির কাঁটায় ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডে গোলের আনন্দে নেচে ওঠার উপলক্ষও মিলে গেল। খবর বিডিনিউজ’র
শাহেদা আক্তার রিপার লং পাস ধরে গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করলেন আকলিমা খাতুন।
ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলের দেখা মেলে ত্রয়োদশ মিনিটে। ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে না পারলে বুদ্ধিদ্বীপ্ত শটে সুযোগ কাজে লাগান অধিনায়ক শামসুন্নাহার (জুনিয়র)।
২৪তম মিনিটে কর্নার ক্লিয়ার করলেও বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। বক্সে ফাঁকায় ছিলেন মনমায়া দামাই। নেপালের এই ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শট পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। অপ্রস্তুত গোলরক্ষক রূপনা চাকমা পারেননি আটকাতে।
এই গোলের পর থেকে বাংলাদেশের দাপট যেন একটু একটু করে কমতে থাকে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেপালের সাবিনা চৌধুরীর চার্জে পড়ে যান অধিনায়ক শামসুন্নাহার। মাঠের পাশে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিতে দেখা যায় তাকে। দ্বিতীয়ার্ধে আর নামতে পারেননি তিনি। বদলি নামেন আইরিন খাতুন।
যদিও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না কোনো দলই। কিন্তু আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে দুই দলের লড়াই ছিল উপভোগ্য। ৫৩তম মিনিটে আফিদা খাতুনের দারুণ লম্বা ফ্রি কিক অনেকটা লাফিয়ে আটকান নেপাল গোলরক্ষক।
এরপর থেকে খেলা যেন মাঝমাঠ ও এর আশপাশেই হতে থাকে। এক-দুবার বক্সে কাঁপন ধরিয়েছে বাংলাদেশ, কিন্তু ফরোয়ার্ডরা ঠিকঠাক জায়গায় না থাকায় মেলেনি গোল।
মাত্র এক গোলের ব্যবধান নিয়ে শঙ্কার দোলাচলে কিছুটা দুলতে থাকা বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেন রিপা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের একটু বাইরে থেকে দারুণ শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। তাতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে যায় নেপালের।