‘শেবাগ নয়, টেস্ট ওপেনিংয়ের ধারণা পাল্টে দিয়েছিল আফ্রিদি’

27

টেস্ট মানেই রয়ে সয়ে খেলা। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে এই টেস্ট ফরমেটেও ব্যাটসম্যানদের চড়াও হয়ে খেলতে দেখা যায়। ইনিংসের শুরুতে নতুন বলেও বোলারদের রেহাই দেন না এ যুগের ডেভিড ওয়ার্নাররা। অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ওপেনার ওয়ার্নার তো টেস্টে তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পেছনে বীরেন্দ্রর শেবাগের অবদান দেখেন। ওয়ার্নার মনে করেন, ভারতীয় ওপেনারই টেস্টে রয়ে সয়ে শুরুর ধারণাটা পাল্টে দিয়েছিলেন। অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞও মনে করেন এমনটা।
তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বললেন অন্যরকম। তার মতে, শেবাগ নয়, টেস্টে ওপেনিংয়ে নতুন ধারার প্রবর্তক শহীদ আফ্রিদি। ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে শেবাগ তো পরে এসেছে। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে আফ্রিদিই টেস্টের ওপেনিংয়ের ধারণাটা বদলে দিয়েছিল। আমি যেহেতু বোলার ছিলাম, আমি জানতাম তাকে আউট করতে পারব। তবে এটাও জানতাম, সে আমাকে বাউন্ডারি মারতেও ছাড়বে না। আর আলগা ডেলিভারি হলে তো একেবারে ছক্কা।’ ১৯৯৮ সালে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় আফ্রিদির। ওই টেস্টে দুই ইনিংসে মাত্র ১৬ রান করা আফ্রিদির পরের বছর ভারত সফরের দলে জায়গা পাওয়ার কথা ছিল না।
আকরাম ছিলেন ওই সময় অধিনায়ক। আফ্রিদিকে কিভাবে দলে এনেছিলেন, সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক এই পেসার বলেন, ‘আমি দল নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে কল দিয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘অধিনায়ক, আমি শহীদ আফ্রিদিকে এ সফরে নিতে চাই।’ কয়েকজন নির্বাচক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার অবশ্যই তাকে নেওয়া উচিত, সে একটি দুটি টেস্ট ম্যাচ জেতাবে এবং তাকে ওপেনিং করাবে।’ ইমরানের কথাই সত্য হয়েছিল। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টেই ১৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান আফ্রিদি। সিরিজটা পাকিস্তান জেতে ২-১ ব্যবধানে।
আকরাম বলেন, ‘আমি ইমরানের সঙ্গে সাধারণত অনেক বিষয়ে আলাপ করতাম। কখনও সফরের আগে, কখনও সফর চলার সময়, তার পরামর্শ সবসময়ই কাজে দিয়েছে।’ যোগ করেন, ‘চেন্নাইয়ের মাঠে কি ইনিংসটা খেলেছিল! আফ্রিদি ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে অনিল কুম্বলে আর সুনিল জোসিকে ছক্কা মারতো।’ যদিও টেস্টে আফ্রিদির ক্যারিয়ার তেমন বড় হয়নি। দেশের হয়ে ২৭ টেস্ট খেলে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। অন্যদিকে ভারতের হয়ে ১০৪ টেস্ট খেলে শেবাগের সেঞ্চুরি ২৩টি।