সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:
চট্রগ্রাম আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগদান করবে সন্দ্বীপ থেকে পনের হাজার নেতা-কর্মী। সমাবেশে যোগদান করতে শনিবার সকাল থেকে নৌযাত্রা শুরু করেছে তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া সহ জেলা পরিষদের বিভিন্ন ঘাটে এখন মানুষের ভিড়। যাত্রীবাহী জাহাজ রবিবার ভোরে যাত্রা শুরু করার কথা থাকলেও আজ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে জনসভামূখী মানুষের ঢল নেমেছে। ভিড় সামলাতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। জানা গেছে, মহাসমাবেশে যোগ দিতে রবিবার ভোরে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা’র নেতৃত্বে সন্দ্বীপের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় দশ হাজার নেতা-কর্মী বিআইডব্লিউটিসি’র দুটি জাহাজ, তিনটি বলগেড ও বিশটি যাত্রীবাহী ট্রলারের একটি বিশাল বহরে চট্টগ্রামের সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। সদরঘাট টার্মিনালে চট্টগ্রামে অবস্থানরত আরও দু’হাজার নেতা-কর্মী এ বহরে যুক্ত হবেন। রবিবার সকাল ১০ টায় সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রায় বার হাজার নেতা-কর্মীসহ সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার নেতৃত্বে মিছিল সহকারে পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে যোগ দিবেন। এ ছাড়া পৃথক পৃথক ব্যানারে সাবেক সন্দ্বীপ পৌর মেয়র জাফর উল্যা টিটু, সাবেক যুবলীগ নেতা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজিবুল আহসান সুমনের নেতৃত্বে আরও ২/৩ হাজার নেতা-কর্মী মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নেতা-কর্মী শনিবার চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছেছেন এবং রাতে ওইসব নেতা-কর্মীদের রাত যাপনের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেল ভাড়া করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে ঘিরে গত দু’সপ্তাহ ধরে সন্দ্বীপে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার- প্রচারণা ছিল সরগরম। ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা আয়োজনের মাধ্যমে সমাবেশ সফল করতে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা হয়। সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে গেইট নির্মান এবং পোস্টার, ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে।