শেখ হাসিনার মহাসমাবেশে বেআইনি ভাবে ব্যানার ব্যবহার, এমপিকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষেপেছে সন্দ্বীপ উপজেলা আ.লীগ

62

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:
রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র চট্টগ্রাম মহাসমাবেশে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ব্যানার ব্যবহার করে এবং এমপি মিতাকে কটুক্তি করে সন্দ্বীপ পৌরসভা সাবেক মেয়র জাফর উল্যা টিটু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল কাদের মিয়া’র নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমরা সবাই সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার নেতৃত্বে প্রিয় নেত্রীর মহাসমাবেশের যোগদান করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগ এর অগোচরে অনুমতি ব্যাতিত একটি মহল উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ব্যানারে মিছিল বের করা বেআইনি। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাষ্টার শাহজাহান বিএ জানান, সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ এমপি মিতার নেতৃত্বে নেত্রীর মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। এটিই উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের মিছিল ছিলো। অন্য কেউ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ব্যানার ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই। কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে এই বিষয়ে সীদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন বলেন, সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ এমপি মিতার নেতৃত্বে নেত্রীর মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। যারা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ব্যানারে মিছিল বের করেছে তারা এটা বেআইনি ভাবে করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না আইনি ব্যবস্থা কারণ এরা সংগঠনের কেউ না। আমার সংগঠনের সভাপতি বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় রয়েছেন। তিনি আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র মহাসমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদান করতে গিয়ে এমপি মিতার ছবি দিয়ে ক্রস করে তার বিরুদ্ধে স্লোগান ধরে মিছিল করায় ক্ষুব্ধ সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠন। সন্দ্বীপ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রিয় নেত্রীর আগমনে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং মাননীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা মহোদয়ের নেতৃত্বে নেত্রীর মহাসমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করেছি। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল ব্যস্ত ছিলো স্বার্থ হাসিলের। এমপি মিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তারা এমপি মিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে এটা প্রমাণ করছেন তারা দলের হাইব্রিড তারা চাইছে না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক। তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পছন্দের ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি মনে করি তারা অন্য দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন। আমি এমন ঘটনার তীব্র নিন্দ এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গসংগঠন একসাথে বসবো এবং তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং মাননীয় নেত্রীর সমাবেশকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করতে তাদের এই অপরাজনীতি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘৃনা জানাই। এই বিষয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, আমরা রাজনীতি করি। সন্দ্বীপের ছেলে। আমরা কোন ব্যানারে যাবো। আমাদের পরিচয় সন্দ্বীপ।  তাই এইখানে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ দেওয়া হয়েছে। সন্দ্বীপে দুই ভাগে আওয়ামী লীগ রয়েছে। এক ভাগ সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অপরভাগ সন্দ্বীপের মানুষ যারা আওয়ামী লীগ করে। 
এমপির ছবি দিয়ে হেনেস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মিছিলের সামনে ছিলাম পেছনে কি হয়েছে জানা প্রায় অসম্ভব। এতো হাজার মানুষের মধ্যে কি হচ্ছে না হচ্ছে কারা কি করছে তা খুঁজে বের করা সহজ ছিলো না। এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা দুঃখজনক। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র জনসভায় ঢুকার আগে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এর সদস্য ও উত্তর জেলা যুবলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী রাজিবুল আহসান সুমন সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্যে বলেন, আমরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৪বছর ধরে সন্দ্বীপের একজন বিশেষ ব্যক্তি একজন প্রতিনিধির ধারা লাঞ্চিত হয়ে আসছি। সে সময় পাশে ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র জাফর উল্যা টিটু এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল কাদের মিয়াও। রাজিবুল আহসান সুমন বক্তব্য দেওয়ার সময় ঠিক তার পাশে স্থানীয় সংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা’র ছবিতে ক্রস দেওয়া বেশকিছু ফেস্টুন দেখা গেছে।