শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত

46

বাঁশখালী বাণীগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৪র্থ দিনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। যুবলীগ নেতা রাশেদ মুনির ও তৌহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এতে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শাহিদা আক্তার জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দীন চৌধুরী, মহিলা নেত্রী শাহিদা আক্তার নাসরিন, লায়ন অ্যাড. শেখর দত্ত, কেএম সালাহ উদ্দীন কামাল।
বক্তব্য রাখেন জিয়া উদ্দীন আরিফ, ওবায়দুল হক, শামীম, মনসুর, দাউদ মানিক। বিজয় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম ও মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি এম এ লতিফ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে সহযোগী হলে এই সোনার বাংলা বিনির্মাণ কঠিন কিছু নয়। সবার মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের শীর্ষ নেতৃত্ব হিসেবে ইতোমধ্যে সম্মান অর্জন করেছেন। এসবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের কল্যাণমুখী উন্নয়ন কাজের জন্য। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে আমাদের মেধা-শ্রম প্রশংসিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা- বাংলাদেশের এই অর্জন পৃথিবীতে বিরল। এই বিজয় নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। বাঁশখালীতে অনেকে অনেক কিছু করলেও এই পর্যন্ত কেউ বিজয় মেলা আয়োজন করতে পারেনি। কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হয়। আমি সাহস করে তাই এ কাজটি শুরু করলাম। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেউ কেউ হয়তো আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবছেন। সেটা ঠিক নয়, আমি কারও প্রতিপক্ষ নই। আমি এই বিজয় মেলা সফল করে প্রমাণ করবো- বিজয় মেলা সার্বজনীন। এটা নিয়ে কারও রাজনীতি করা উচিত নয়। বিজ্ঞপ্তি