বান্দরবান প্রতিনিধি
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, শুধু গাছ লাগালে চলবে না, গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। ইচ্ছামতো বন নিধন করা যাবে না। গাছ না থাকলে অক্সিজেন তৈরি হবে না। আর অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচবে না। তাই গাছের মতো উপকারী বন্ধু আর কেউ নেই। প্রকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন অন্যতম দায়ী। তাই নিজেদের জন্য যেখানে খালি জায়গা পাওয়া যাবে সেখানে গাছ লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ঘন ঘন পাহাড় ধসে মানুষের জানমালের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
ঘরবাড়িসহ ভিটেমাটি হারাচ্ছে মানুষ। পাহাড় ধসের একমাত্র কারণ হচ্ছে পাহাড়ে গাছ না থাকা। যে সব পাহাড়ে গাছপালা নেই সেসব পাহাড় ধস নেমেছে। তাই পাহাড় ধস থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য বাড়ির আশে পাশে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। পর্যটন শহরের সড়কের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ ছায়া যুক্ত সড়ক এবং সড়কের স্থায়ীত্ব রক্ষায় বৃক্ষরোপণ করা খুবই প্রয়োজন মনে করেন পার্বত্যমন্ত্রী। সম্প্রতি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র প্রান্তিক লেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মিশ্র ফলবাগান কর্মসূচির উদ্বোধন কালে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লুৎফুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. একেএম নাজমুল হক, বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. ফরিদ মিয়াসহ প্রশাসন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি বন বিভাগ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্যমন্ত্রী আরো বলেন, যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রকৃতি বাঁচাতে হলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রকৃতি সুরক্ষা না পেলে আমার জীবনও সুরক্ষিত হবে না। তাই সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করতে হবে এবং বৃক্ষরোপণে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। জানা যায়, মিশ্র ফলবাগানে আম, লেবু, আনার, পেয়ারা, লিচু, কদবেল, জাম্বুরা, লটকন, মালটা, জলপাই, জাম, মিষ্টি তেতুল, ব্যাক বেরি ও রাম্বুটানসহ প্রায় ৩শ ফলবৃক্ষ রোপণ করা হবে। বান্দরবান কেরানীহাট-চিম্বুক মহাসড়কের পাশে ২৭ হাজার কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, শিমুল, পলাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষরোপণ করার কাজ চলমান রয়েছে। বান্দরবানের সকল উপজেলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পর্যটনকেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ করার মাধ্যমে ১ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
