‘শিক্ষায় যেন বৈষম্য সৃষ্টি না হয়’

4

 

জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে নগরীর জামাল খন প্রেস ক্লাবে কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে “বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী” ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আল শাহরিয়ার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালি বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি প্রফেসর ডক্টর দীপংকর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইসহাক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফারুখ আহমেদ, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওসমান গনি মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম হুমায়ন কবির আজাদ, সহ-সম্পাদক অরভিন সাকিব ইভান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, বরং ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ধনী শ্রেণির জন্য। এছাড়া কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখে। এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া শরীফ কমিশনের এ পক্ষপাতমূলক শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে। সরকারি হিসাবে সেদিন পুলিশের হামলায় একজন নিহত, ৭৩ জন আহত ও ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- একজন নন, নিহত হয়েছেন তিনজন- মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ। আগামীতে যাতে শিক্ষায় বৈষম্য সৃষ্টি না হয় সেদিকে ছাত্রলীগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি