শিক্ষার্থীদের করোনা ঝুঁকি কমাতে অভিভাবকদের দায়

9

 

শিক্ষার্থীদের করোনা ঝুঁকি কমাতে অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে আরও দ্বিগুণ। কেননা শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ সময় কাটে তাদের পরিবারে। প্রতি পরিবারের অভিভাবকদের উচিত করোনা টেস্ট করানো এবং করোনার ভ্যাকসিন অতিসত্বর গ্রহণ করা। যদিও বিদ্যালয় গুলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সহ সকল নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে তবুও দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে করোনা এখন বাচ্চাদের ও আক্রান্ত করছে।এ কারণেই প্রথমে পরিবারের কোন ব্যক্তি কোভিট ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে নেয়া দরকার। এটি মনে রাখা প্রয়োজন যে, মূল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো একই রকম। এর মধ্যে বার বার হাত ধোয়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যেমন কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় কনুই দিয়ে ঢেকে নেয়া বা টিস্যু ব্যবহার করা, তারপর টিস্যুটি নিকটবর্তী বন্ধ ময়লার বাক্সে ফেলে দেয়া।এসব সতর্কতা একজন অভিভাবক যত বেশি পালন করবেন। ততবেশি আপনার ঘরের সন্তানটিও এসব শিখবে।এসব সতর্কতা রপ্ত করলেই একজন শিক্ষার্থী ততোটাই করোনা থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকবে।
স্কুলগুলোতে এখন তাপমাত্রা দেখেই শ্রেণিতে প্রবেশ করানো হয়।তবুও যদি আপনার সন্তানের ফ্লু র মতো শ্বাস প্রশ্বাসজনিত কোনো সংক্রমণ হয় তাহলে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ ভেবে বসে থাকবেন না। দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিন এবং লক্ষণ গুলো থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ে যেতে দেবেন না বরং পুরোপুরি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং সন্তানকে কোনো ধরনের নেগেটিভ কথা বলবেন না। এতে করে তাদের উপর আলাদা একটা চাপ সৃষ্টি হবে।
বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের নেগেটিভ জাতীয় কোনো কথা বলা হয়না।এতে করে বিদ্যালয় তাদের জন্য একটি আত্মবিশ্বাসের পরিবার হয়ে উঠে। আর এসময় শিক্ষার্থীদের বা আপনার সন্তানকে যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করবেন ততবেশিই তাদের মধ্যে পুরোনো আনন্দগুলো জেগে উঠবে বিদ্যালয়েও উপস্থিতি অনেক বেড়ে যাবে। আপনি তখনি সফল যখন আপনার সন্তান শারীরিক এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত।