শিক্ষক সমীপে…

4

 

আলোর কথা যাঁরা বলেন, আলোর ভাষা যাঁরা বোঝেন,আলোকবর্তিকা হাতে যাঁরা পথ চলেন, আলোকিত সমাজ গঠনে যাঁদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাঁঁরাই শিক্ষক। একমাত্র শিক্ষকই মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রতম তন্ত্রীকে কাজে লাগিয়ে ভাবকে ভাষায় তুলে আনার কাজটি সুনিপণভাবে সম্পন্ন করেন। অতঃপর তারই গড়নের সৃষ্টির সেরা সৃষ্টি মানুষের সন্তানদের বয়স, চাহিদা, সামর্থ্য, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা দেখে নিজের বিজ্ঞতা দিয়ে কখনো অ-তে অনেক বড় হবো, আ-তে আকাশে উড়ে বেড়াবো আবার কখনো ভোর হলো দোর খোল খুকুমণি উঠরে,কখনো তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয় অথবা এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে কিংবা ঙ! O! Marry go and call the cattle home এই পঙক্তিগুলো নিজের বিদগ্ধতা দিয়ে উপস্থাপন করছেন। এ পেশায় তাঁরাই আসেন যাঁরা সৃষ্টির সেরা সৃষ্টিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার বিরল গৌরব অর্জন করেছেন। যাঁরা পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন সেই সব মহামানবদের যাঁদের কথা প্রতিটা মুহূর্তেই অন্যের উপমা হয়ে থাকে। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ), সম্রাট অশোক,স্বামী বিবেকানন্দ, যীশুখ্রিষ্ট আরো অনেকেই। তাঁদের মৃত্যু নেই। তাঁরা মৃত্যুবরণ করেন না। তাঁদের যোগ্য উত্তরসূরি শিক্ষকরাও কখনো ই মৃত্যুবরণ করবেন না। তাঁরা অতীত হন না, সদা সর্বদা বর্তমানই থাকেন। জেনে, না জেনে যাঁরাই এ ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তাঁরাই জাতির কাছে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছেন। অন্যের কাছে স্মরণীয়, বরণীয় হতে পেরেছেন। এ কারণেই পেশার প্রতি থাকতে হবে অবিচল নিষ্ঠা। এ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা কেবল একজন শিক্ষকের মর্যাদাকেই বৃদ্ধি করবে না, শিক্ষকতার ব্রতকেও গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করবে। তাই বলি ‘জন্মই যাঁর সৃষ্টির জন্য তিনিই শিক্ষক।’