শিক্ষক নিয়োগে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা চাই : দীপু মনি

82

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে টিএসসি অডিটোরিয়ামে ‘প্রসঙ্গ উচ্চশিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আসলেই সকল ক্ষেত্রে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সকল জায়গায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। এটিতে কোনো ধরনের কোনো ভিন্ন কিছু চাই না। যে কারণে আমরা এখন মাধ্যমিক শিক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এখন কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ শুধুমাত্র এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে আর কারও মাধ্যমে নয় এবং সেখানে পরিপূর্ণভাবে স্বচ্ছতা নিয়ে আসা হয়েছে। “এখন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমরা কী করে করব, নিয়োগের ক্ষেত্রে একটা কমিশনের ব্যবস্থা করা হবে কি না, কী হবে নিশ্চয়ই আমরা মনে করি আমাদের ভাবনা- চিন্তা করার একটা সময় এসেছে।” খবর বিডিনিউজের শিক্ষকদের মান নিয়ে আলোচনায় গবেষণায় তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, একজন শিক্ষক, একজন গবেষক, তার পরিচয় তিনি কতটা ভালো করছেন তার একটা দেখবার বিষয়- তিনি কতটা গবেষণা করলেন, কতটা পাবলিশ করলেন এবং কোথায় পাবলিশ করলেন। তবে আমি অনেক জায়গায় শুনেছি যে, আমাদের গবেষকরা অনেক সময় ভাষাগত কারণে কেউ কেউ আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের গবেষণাকর্ম দিতে দ্বিধাবোধ করেন। সেটিও আসলে বিশ্ববিদ্যালয় পযার্য়ে থেকে হওয়া উচিত নয়। বরং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই এই মেকানিজম থাকা উচিত যে যারা সেই ভাষাগত দিকটিতে সাহায্য করবেন, সহযোগিতা করবেন। কারণ অনেকেরই হয়ত সেই ভাষাগত দিকটিতে দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু তার গবেষণাটি অত্যন্ত উন্নতমানের, অত্যন্ত বিশ্বমানের হতে পারে। এজন্য সেই সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেমের মধ্যে থাকা উচিত। প্রশ্ন ফাঁসের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা খুব সচেতন থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসটি কিন্তু বন্ধ করতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা সচেতন থাকলেই সব জায়গায় তা বন্ধ করা সম্ভব। কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “২০২১ সালের প্রথম থেকে আমাদের প্রতিটি সাধারণ বিদ্যালয়ে এবং মাদ্রাসায় আমরা অন্ততপক্ষে কারিগরির দুটি বিষয় প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ কেউ ম্যাট্রিক পাশ করে, এসএসসি পাশ করে আর পড়ার সুযোগ পেল না কিন্তু তার যে কর্মসংস্থানের সমস্যা না হয় সে যদি বিদেশেও যায়, দেশেও থাকে যেখানেই থাকুক তার যেন কর্মসংস্থানের সে একটা ব্যবস্থা করে নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে সেমিনারে মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।