শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ‘বিষপানের’ চেষ্টা শিক্ষার্থীর!

5

ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন আগেই, সহপাঠীরা পাশে ছিলেন, সামনে ছিলেন শিক্ষকরাও। শতাধিক মানুষের সামনে হ্যান্ডমাইক হাতে ক্ষোভ আর হতাশার কথা বলতে বলতে পকেট থেকে একটি বোতল বের করে মুখে নেওয়ার চেষ্টা করলেন এক শিক্ষার্থী। তাকে থামানোর চেষ্টায় শুরু হল হই চই, হট্টগোল। কয়েক মিনিট পর দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে তুলে তাকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে।
গতকাল বেলা ১২টার দিকে নাটকীয় এ ঘটনা দেখা গেল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে, যেখানে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষকের স্থায়ী অপসারণের দাবিতে অনশন করছেন একদল শিক্ষার্থী।
যাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সেই শামীম হোসেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ না নিলে তিনি অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনেই আত্মহত্যা করবেন। খবর বিডিনিউজের
শিক্ষার্থীরা বলছেন, রবিবার দুপুরে অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অনশনস্থলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে হ্যান্ড মাইকে কথা বলতে বলতেই বিষপানের চেষ্টা করেন শামীম।
তার সহপাঠী জাহিদুল ইসলাম সিরাজ বলেন, “আমাদের দাবি না মানার কারণে শামীম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।”
সেপ্টেম্বরের শেষে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, তিনিসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ঘটনার সময় কাছাকাছিই ছিলেন।
শামীম আসলে কী খেয়েছেন জানতে চাইলে হিমেল বলেন, পয়জন ছিল, সম্ভবত। আমি দেখিনি ও কী খেয়েছে, আমি দেখেছি ও মুখে কিছু দিয়েছে।
এত মানুষ থাকার পরও তাকে আটকানো গেল না কেন- এই প্রশ্নে এই শিক্ষক বলেন, ওরা আমাদের কথা শুনল না, ওরা বলেই দিয়েছে যে ‘আমরা শিক্ষকদের কাছে কিন্তু শুনতে চাচ্ছি না’।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, শামীম ঘোষণা দিয়ে রাখায় আগেই অ্যাম্বুলেস এনে রাখা হয়েছিল। সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই তাকে পোতাদিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।