শাহ আমানত সেতু গোলচত্বর ভাসমান শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ, তৈরি হবে বাস-বে

54

শাহ আমানত সেতুর নগর প্রান্তের গোল চত্বর এলাকায় ভাসমান শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে সড়ক বিভাগ ও পুলিশ। যানজট কমাতে এবং গাড়িতে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য নির্ধারিত স্থান ‘বাস- বে’ তৈরির জন্য এসব জমি ব্যবহার করা হবে। সড়ক বিভাগ এসব জমিতে ‘বাস-বে’ তৈরি করে দেবে। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আরিয়ান জানান, বুধবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়। গোল চত্বর এলাকায় সবগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে, চলতে পারে আরো ২-৩ দিন। প্রথম দিনে শতাধিক ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। সবগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে যানবাহনের চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে।
শাহ আমানত সেতুর নগর প্রান্তে পরিবহনের যততত্র পার্কিং, অবৈধ স্টেশনে বিশৃঙ্খলার কারণে যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। যানজট, ভোগান্তি, পকেটমারের উৎপাত আর যত্রতত্র পার্কিংয়ের ফলে দক্ষিণ জেলা, বান্দরবান এবং কক্সবাজারের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ অবস্থায় নতুন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেয় সিএমপি। এরপর যানজট নিরসনে বাস শ্রমিক, মালিক এবং পুলিশ ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক হয় এবং যৌথভাবে কাজ শুরু করে। কাজ শুরুর এক দিনের মাথায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গতকাল উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মুছাসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আরিয়ান, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফয়সল, টি আই (বাকলিয়া) মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইকবাল, মেজবাহ উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, কার্যকরী সভাপতি নুরুল কবির, সহ সভাপতি আরব আলী বাচা, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ আজিজ, মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বিলাসী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক চৌধুরী, সুপার বাস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, চট্টগ্রাম পিএবি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম।
সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, গোল চত্বরের আল আকসা বিল্ডিংয়ের সামনে উচ্ছেদকৃত স্থানে একটি ‘বাস-বে’ তৈরি করে দেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেখানে পৃথকভাবে চারটি স্থান নির্ধারণ করা থাকবে নির্দিষ্ট গন্তব্যের যাত্রীদের জন্য। সেখানে থেকে একটি গাড়ি যাত্রীতে পরিপূর্ণ হওয়ার পর আরেকটি গাড়ি স্টেশন থেকে ‘বাস-বে’ এলাকায় আসবে। এর মাধ্যমে যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের গাড়ি খুঁজে পেতে সহজ হবে। একইভাবে বাসগুলো দ্রুত যাত্রীতে পরিপূর্ণ হবে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করবে।