শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে বিমান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সুজনের

19

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের যাত্রী হয়রানি কমাতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী’র ত্বড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উপরোক্ত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর ত্বড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রী হয়রানি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক এই বিমান বন্দরে যাত্রী হয়রানির ফলে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে অন্যদিকে দেশের সুনামও ক্ষুন্ন হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ফলে প্রতিদিন এই বিমান বন্দর দিয়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রী আসা যাওয়া করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই হচ্ছে ওমরাহ ফেরত যাত্রী। এছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের আসা যাওয়ার প্রধানতম বিমান বন্দর হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে যে যাত্রীদের লাগেজের জন্য বিমান বন্দরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাত্রীগণ এই বিমান বন্দর দিয়ে আসা যাওয়া করার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে তাদেরকে বাধ্য হয়েই লাগেজের জন্য ঢাকা শহরে অবস্থান করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের ভ্রমণ খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাগেজের জন্য বিমান বন্দরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার কারণে বয়স্ক যাত্রীগণ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ট্রলি সংকট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের যাত্রীসেবাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই ট্রলি ছাড়াই লাগেজ টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। আবার কেউ কেউ মাথায় লাগেজ নিয়ে বিমান বন্দর পার হচ্ছেন। এরকম সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন দেশি বিদেশি যাত্রীগণ। এতে করে সরকারের ভাবমুর্তি মারাতœকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। শুধু তাই নয় সরকারের বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ট্রলি এবং লাগেজের অব্যবস্থাপনার ফলে। যাত্রীগণ বিমানের কাউন্টারে তাদের অভিযোগের কথা বলতে গিয়ে উল্টো ভৎসর্নার শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া একই লাগেজ বেল্টে একসাথে বিভিন্ন ফ্লাইটের মালামাল প্রেরণ করা হচ্ছে। ফলত লাগেজ খুঁজতে খুঁজতে যাত্রীদের গলদঘর্ম হওয়ার মতো অবস্থা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও লাগেজ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বিমান বন্দরের আধুনিকায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। অথচ বিপরীতে যাত্রী সেবার মান নিম্নমূখী। সিভিল এভিয়েশন এবং বিমানের অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে দিনের পর দিন। বিমান বন্দরের এহেন অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে লাগেজ এবং ট্রলি হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে অভিজ্ঞ কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। আসন্ন হজ¦ মৌসুমের পূর্বেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বর্ণিত সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী’র নিকট জোর দাবী জানান খোরশেদ আলম সুজন। বিজ্ঞপ্তি