শান্তিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

25

পটিয়ার শান্তিরহাটকে যানজটমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে প্রায় ২০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। আসন্ন ঈদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে যানজট নিরসন করতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মোহাম্মদ বশির।
জানা গেছে, শান্তিরহাটে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত, পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ যানজট নিরসন করতে বিভিন্ন সময় কাজও করেছেন। কিন্তু যানজটমুক্ত না হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা ঘোষণা দিয়েছেন যানজটমুক্ত করতে মহাসড়কের পাশে কোন হাট-বাজার বসানো যাবে না। কোরবানী ঈদে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ও কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও ট্রাফিক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে মহাসড়কের পাশে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু করেন। নিজ হাতে অবৈধ স্থাপনার খুঁটি কেটে দিয়েছেন। শান্তিরহাট এলাকা এখন যানজটমুক্ত।
টিআই মোহাম্মদ বশির জানিয়েছেন, শান্তিরহাটে রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনার মাধ্যমে ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করার কারণে মূলত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কের শান্তিরহাট এলাকায় সবচেয়ে বেশি যানজট সৃষ্টি হয়। যে সকল দোকানিরা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে তা তিনি নিজে কেটে দিয়েছেন। বর্তমানে শান্তিরহাট এলাকাটি যানজটমুক্ত। তাছাড়া শান্তিরহাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে বাস সহ বিভিন্ন পরিবহন যত্রতত্র পার্কিং ও ইচ্ছেমত গাড়ি ঘুরানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান। বাস ও অন্যান্য পরিবহন যখন তখন রাস্তার মাঝখানে ঘুরানো যাবে না। মনসা বাদামতল এলাকায় গিয়ে গাড়ি ঘুরানোর জন্য চালকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, শান্তিরহাটে অবৈধ স্থাপনা ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ি চালকদের ইতোমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহাসড়কের কোথাও যেন পার্কিং করা না হয়। কোরবানী ঈদ উপলক্ষে শান্তিরহাটকে যানজটমুক্ত করায় ট্রাফিক প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। শান্তিরহাট যানজটমুক্ত করা গেলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ দ্রুত ও নিরাপদে ফিরতে পারবেন। এজন্য শ্রমিক নেতা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।