শহীদ সবুর খানের কবর সংরক্ষণ করার দাবি

22

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আবদুস সবুর খানের কবর সংরক্ষণ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শহীদ আবদুস সবুর খান স্মৃতি সংসদ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের কাছে আবেদন জানিয়েছে। গত রবিবার স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম খান আবেদনটি চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন। সবুর খান বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ভারতের হরিণা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন। এফএফ-৩৩ এর সাথে যুক্ত হন এবং গ্রæপ নং-এফএফ ৩৩, ৩৪ ও ৩৫-এর অপারেশন চিফ হিসেবে তৎকালীন পটিয়া (চন্দনাইশসহ) আনোয়ারা ও বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় সফলভাবে অপারেশন পরিচালনা করেন। বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সবুর খানের সমাধি অবহেলা ও অযতেœ পড়ে আছে।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন পটিয়া বর্তমান চন্দনাইশ উপজেলার বশরতনগর মাদ্রাসায় রাজাকার আল-বদর আল-শামস বাহিনী ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনা করেন আবদুস সবুর খান। সেদিন সম্মুখযুদ্ধে ক্যাম্প থেকে রাজাকারদের একটি বুলেট সবুর খানের কপালে আঘাত করে। সেই বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। পরের দিন সকালে রাজাকাররা সবুরের লাশের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন শেষে শঙ্খ নদীতে ফেলে দেয়। সংবাদ পেয়ে শহীদের আত্মীয়-স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তিনদিন পর ৩ ডিসেম্বর সকালে লাশ ভাসমান অবস্থায় চর-বরমা এলাকার শঙ্খ নদীতে পাওয়া যায়। ওইদিন বিকেলে শহীদের জন্মস্থান বরমা গ্রামের উসাপুকুর পাড়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পান। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর তিনি মরণোত্তর সম্মাননা পান। স্মৃতি সংসদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রক্ষা ও সংরক্ষণ করার জন্য পুকুরের ভেতরের দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি