শহীদে কারবালা ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে কল্যাণমুখী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম

8

সৈয়দ সফিউল গনি চৌধুরী

সৈয়্যদুশ শোহ্দা হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) চতুর্থ হিজরীর ৫ শাবান পবিত্র মদিনা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইসলামের ৪র্থ খলিফা আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী বিন আবি তালিব (রা.) ও খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমাতুজ যাহারা (রা.)’র দ্বিতীয় শাহজাদা। জম্মের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কানে আযান দিয়ে দোয়া করেছিলেন। সাত দিন পর আক্বীকা করে হোসাইন নাম রাখা হয়েছিল। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, “হাসান ও হোসাইন জান্নাতি নাম সমূহের মধ্যকার দু’টি নাম। এর আগে আরবের জাহিলিয়ার যুগে এই দু’নামের প্রচলন ছিল না। হযরত হাসান ও হোসাইন (রাদি আল্লাহ তাআলা আনহুমা) হুযুর আকরম (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এর খুবই প্রিয় পাত্র ছিলেন। তাঁদেরমর্যাদা ও মর্তবা সম্পর্কে অনেক হাদিসে বর্ণিত আছে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন-“নিশ্চয়ই হাসান-হোসাইন দুনিয়াতে আমার দুটি ফুল”। আপন সন্তান থেকেও রাসুল (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদেরকে (রা.) অধিক ভালবাসতেন।
আহলে বায়তে রাসুল (স.)’র মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ সুবাহানুতালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,‘ বলুন আমি আমার আহŸানের জন্য তোমাদের নিকট হতে আত্মীয়তার সৌহার্দ্য ব্যতিত অন্য কোন প্রতিদান (পারিশ্রমিক) চাইনা’ (সূরা: আশ্-শূরা, আয়াত – ২৩ আংশিক)। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন নবী করিম (সা.) মদিনা মনোয়ারায় তাশরিফ আনেন, তখন আনসার সাহাবিগণ দেখলেন যে হুযুর (সা.)’র দায়িত্বে ব্যয়ের খাত অনেক রয়েছে, অথচ সম্পদ কিছুই নেই, তখন তাঁরা পরস্পর পরামর্শ করলেন, আর হুজুর (সা.)’র প্রতি কর্তব্যাদির তাঁর উপকারিতার কথা স্মরণ করে হুজুর পাক (সা.) খেদমতে পেশ করার জন্য বহু দ্রব্যসামগ্রী একত্রিত করলেন। অতঃপর সেগুলো নিয়ে হুজুরে পাক (সা.)’র পবিত্রতম দরবারে হাজির হলেন। সাহাবিগণ আরজ করলেন, “ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) ! আপনার মাধ্যমে আমরা সঠিক পথ লাভ করেছি। আমরা পথভ্রষ্টতা থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, হুজুরের ব্যয়ের খাত বেশি। এইজন্য আমরা খাদেমগণ এ দ্রব্যগুলো আপনার পবিত্রতম দরবারে প্রদান করার জন্য নিয়ে এসেছি। এই তোহফাগুলো গ্রহণ করে আমাদেরকে ধন্য করুন।” এই প্রসঙ্গে এ আয়াতখানি অবতীর্ণ হয়েছে । আর হুজুর (সা.) মালামাল গুলো গ্রহণ না করে ফেরত দিলেন। উপরোক্ত আয়াতের অর্থ এ দাঁড়ায় যে, “ আমি হিদায়ত ও পথ প্রদর্শনের জন্য কোনো পারিশ্রমিক চাইনা। কিন্তু আত্মীয়তার প্রতি কর্তব্য পালন করাতো তোমাদের ওপর অপরিহার্য্য। তাঁদের প্রতি লক্ষ্য রাখো। আমার আহলে বাইত (নিকটাত্মীয়গণ) তোমাদের ও আপনজন। তাঁদেরকে কষ্ট দিয়ো না”। হযরত সাঈদ ইবনে যুবায়র (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘ নিকটাত্মীয়’ দ্বারা হুজুরে করিম (সা.) ‘পবিত্র বংশধর’(আহলে বাইত) দ্বারা হযরত আলী (রা.) হযরত ফাতেমাতুজ জাহারা (রা.) এবং হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) কে বুঝিয়েছেন। (বুখারী শরিফ)
হযরত আল্লামা জামী (র.) বর্ণনা করেন, একদিন সরকারে দু’আলম (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহ তাআলা আনহু) কে ডানে ও স্বীয়ি শাহজাদা হযরত ইব্রাহীম (রা:) বামে বসিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন-ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ তাআলা এ দু’জনকে আপনার কাছে এক সঙ্গে রাখতে দেবেন না। ওনাদের মধ্যে একজনকে ফিরিয়ে নিবেন। অতএব আপনি এ দু’জনের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পছন্দ করুন। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) ফরমালেন, যদি হোসাইনকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে ওর বিরহে ফাতেমা ও আলীর খুবই কষ্ট হবে এবং আমার মনটাও ক্ষুন্ন হবে আর যদি ইব্রাহিমের ওফাত হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশী দুঃখ একমাত্র আমিই পাব। এজন্য নিজে দুঃখ পাওয়াটাই আমি পছন্দ করি। এ ঘটনার তিন দিন পর হযরত ইব্রাহিম (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) ইন্তেকাল করেন।
এরপর থেকে যখনই হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এর সমীপে আসতেন, হুযুর ওকে মুবারকবাদ দিতেন, ওর কপালে চুমু দিতেন এবং উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন করে বলতেন-আমি হোসাইনের জন্য আপন সন্তান ইব্রাহিমকে কুরবানী দিয়েছি।(শওয়াহেদুন নাবুয়াত) । হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) ইরশাদ করেছেন – হাসান-হোসাইন জান্নাতী যুবকদের সরদার। হযরত আবু হুরাইরা (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণিত, রসুলে আকরম (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) একদিন এমন অবস্থায় বাইরে তশরীফ আনলেন যে, তাঁর এক কাঁধের উপর হযরত হাসান এবং অন্য কাঁধের উপর হযরত হোসাইনকে ও ডানে ও স্বীয়ে শাহাজাদা হযরত ইব্রাহীম (রা:) বসিয়ে ছিলেন।আর এ ভাবেই আমাদের সামনে তশরীফ আনলেন এবং ফরমালেন যে এ দুজনকে মহব্বত করলো, সে আমাকে মহব্বত করলো আর যে এদের সাথে দুশমনী করলো, সে আমার সাথে দুশমনী করলো।”
ভ্রাতা ইমাম হাসান মুজতবা (রা.)’র শাহাদাতের পর তিনি খোদায়ী নির্দেশ এবং তাঁর ভ্রাতার অসীয়ত মোতাবেক ইমাম হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইমাম হোসাইন (রা.) একাদিক্রমে দশ বছর ইমাম ছিলেন। তবে তাঁর শেষ ছয় মাস পাশাপাশি আমীরে মুয়াবিয়ার খেলাফতও চালু ছিল। ইমাম হোসাইন (রা.) কে অত্যন্ত অত্যাচার ও নির্যাতনমূলক এক অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়। প্রথমত এর কারণ তদানিন্তন সমাজে ধর্মীয় আইন ও বিধানের গুরুত্ব হ্রাস পাওয়া এবং উমাইয়াদের পরিপূর্ণ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অর্জন। দ্বিতীয় উমাইয়া বংশের কিছু লোক সকল উপায়ে মহানবী (সা.)’র আহলে বাইতকে কোণঠাসা ও পদচ্যুত করার চেষ্টা করা এবং ইমাম আলী (রা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের নাম মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল। স্মতর্ব্য যে, প্রাচীন আরব রীতি অনুযায়ী রাজা-বাদশাহ বা সরকারপ্রধানদের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দান বা বায়াত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা শাসিত হয়, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা প্রভাবশালী ও ও সুপরিচিত তারা তাদের বাদশাহ, শাহজাদা বা এ জাতীয় কোন কর্তৃত্বশালীর কাছে আনুগত্য, ঐক্যমত ও অনুসরণের ঘোষণা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেয়া এবং তাদের গৃহীত সকল কার্য ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। আনুগত্যের ঘোষণা দানের পর কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে শাসকবর্গ তা অমর্যাদাকর ও অসম্মানজনক বলে মনে করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কোন চুক্তি সম্পাদনের পর তা ভঙ্গ করা হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে একটি অপরাধকর্ম হিসাবে বিবেচিত হয়। মহনবী (সাঃ)’র দৃষ্টান্ত মোতাবেক লোকেরা বিশ্বাস করে যে, বল প্রয়োগ ব্যতিরেকে স্বেচ্ছায় আনুগত্য ঘোষণা করা হলে সেটি কার্যকর ও কর্তৃত্বসম্পন্ন। এখানে উল্লেখ্য, ইসলামে রাজতন্ত্রের কোন স্থান নেই। মহানবী (দঃ)’রবাণীতে আছে, ইসলামে রাজতন্ত্রের অবকাশ নেই। মুয়াবিয়া জনসাধরণের মধ্যে অপেক্ষাকৃত পরিচিতদেরকে ইয়াজীদের আনুগত্য বা বায়াত গ্রহণ করতে বলে, তবে ইমাম হোসাইন (রা.)-’র ওপর বায়ত গ্রহণের এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেননি। তিনি তার সর্বশেষ অসীয়তনামায় ইয়াজীদকে বিশেষভাবে বলে গিয়েছিলেন যে, ইমাম হোসাইন (রা.) যদি আনুগত্যের বায়াত নিতে অস্বীকার করেন তাহলে সে ব্যাপারে যেন নীরব থাকা হয় এবং বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। এর কারন হয়তো এই যে, ইমাম হোসাইন (রা.)- কে আনুগত্যের বায়াত নিতে চাপ দেওয়ার পরিণতি কতখানি বিপর্যয়কর হবে তা তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ইয়াজীদ তার অহংকার ও বেপরোয়া মনোভাবের দরুন পিতার উপদেশ অমান্য করে পিতার মৃত্যুর পরপরই মদীনার গভর্নরের কাছে এই মর্মে নির্দেশ পাঠায় যে, হয় ইমাম হোসাইন (রা.)- কে আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হোক অথবা তাঁর মস্তক রাজধানী দামেস্কে পাঠানো হোক। মদীনার গভর্নরের কাছ থেকে ইয়াজীদ্রে এই দাবী অবহিত হওয়ার পর ইমাম বিষয়টির ওপর একটা চিন্তা করে দেখার জন্য কিছুটা বিলম্ব করতে বলেন এবং রাতের মধ্যে পরিবারবর্গ নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হন। ইমাম হোসাইন (আঃ)- তাঁর এই কঠিন সময়ে প্রকৃতপক্ষে আল্লার পবিত্র ঘরে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। ইসলামে বায়তুল্লাহ শরীফকে আশ্রয় ও নিরাপত্তার জন্য বিধিবদ্ধ ও নির্ধারিত স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ঐ ঘটনা ঘটে ৬০ হিজরী সালের রজব মাসের শেষ দিকে ও শাবান মাসের সূচনাকালে। প্রায় ৪ মাস যাবত ইমাম হোসাইন (রাঃ) মক্কায় অবস্থান করেন। এসময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুরু হয় চিঠির বন্যা, বিশেষ করে ইরাক ও কুফা নগরী থেকে । এসব চিঠিতে ইমাম হোসাইন (রাঃ)- কে ইরাকে যাবার ও অন্যায় অবিচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনগণের নেতৃত্ব গ্রহণের আহবান জানানো হয়। এরপর ইমাম হোসাইন (রা.) তাঁর পরিবারবর্গ ও একদল সাথীকে নিয়ে ইরাকের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েন। ইমাম হোসাইন (রা.) ইয়াজীদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন এবং তিনি ভালো করেই জানতেন যে, এর পরিণতিতে তিনি শাহাদাত লাভ করবেন। তিনি এই মর্মে সম্যক অবগত ছিলেন। উমাইয়াদের ভয়ংকর সামরিক শক্তির মুখে এবং সেই সাথে কোন কোন মহলের দুর্নীতি, আধ্যাত্মিক গুণেৃর পতন ও সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে ইরাকী জনগণের ইচ্ছা শক্তির অভাব অনিবার্যভাবে তার মৃত্যু ঘটাবে।
অবশেষে ইমাম হোসাইন (রা.) তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ ও স্বল্প সংখ্যক সঙ্গী ইয়াজীদের ২২ হাজার সৈন্যের এক বিরাট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে শহীদী শুরা পান করেন। ৬৮০ খৃষ্টাব্দ মোতাবেক ৬১ হিজরীর ১০ মহরম এ ঘটনা সংঘঠিত হয়েছিল। শাহাদাত লাভকারীদের মধ্যে ইমাম হাসান এর দুই সন্তান, যাঁদের বয়স ১৩ ও ১১ বছর এবং ইমাম হোসাইন (রা.)’র দুই সন্তান ও যাঁদের একজনের বয়স পাঁচ বছর ও একজন দুগ্ধপোষ্য। নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী কারবালার শহীদের সংখ্যা ৭২ জন এবং বন্দির সংখ্যা ৯ জন।
ইমাম হোসাইন (রা.)ও ইয়াজীদের জীবনেতিহাস এবং ঐ সময়কার ঘটনাপ্রবাহ ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা করলে নিঃসন্দেহে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয় যে, শাহাদত বরণ করা ছাড়া ইমামের সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না। ঐ সময় ইয়াজীদের কাছে বায়াত গ্রহণের অর্থ ছিল প্রকাশ্যে ইসলামের অবমাননা করা, যা ইমাম হোসাইন (রা.)’র পক্ষে কোন অবস্থাতেই সম্ভব ছিল না। কারণ ইসলামের প্রতি ইয়াজীদের কোন শ্রদ্ধাবোধ ছিল না আর তাই ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামকে রক্ষার্থে এক মহান ও চরম আত্মত্যাগের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারাবালায় হযরত ইমাম হোসাইনের সংগ্রাম শাশ্বত সত্য, ন্যায় ও সুবিচার এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জনগণের প্রকৃত সমর্থন পুষ্ট গণতান্ত্রিক, সৎ ও নীতিনিষ্ঠ মানুষের প্রশাসন কায়েম রাখার সংগ্রাম। মুহাম্মদী ইসলাম সুরক্ষা ও সকল প্রকার দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর এই মহান আত্মত্যাগ সর্বকালে সর্বযুগে গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক এবং দুর্নীতি পক্ষপাত ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত প্রশাসন সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে এইসব জালিম থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

লেখক : ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, গবেষক