শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম গণহত্যা স্মৃতি পরিষদের প্রদীপ প্রজ্বালন

23

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার লালদিঘির জনসভায় সংঘটিত হত্যাকাÐ তথা চট্টগ্রাম গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবন গণহত্যা স্মৃতিসৌধ পাদদেশে শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন এবং আলোচনা সভা চট্টগ্রাম গণহত্যা স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার বাদী এডভোকেট শহীদুল হুদার সন্তান মোহাম্মদ মছরুর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং পরিষদের মহাসচিব মোফাচ্ছেল চৌধুরী চৌধুরী মানিক শাহ ও যুগ্ম মহাসচিব এস এম সরোয়ার জাহানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
গণহত্যার স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামীলীগ নেত্রী এড. রেহেনা বেগম রানু, যুব মহিলা লীগের আহŸায়ক অধ্যাপক সায়রা বানু রৌশনি, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের চেয়ারম্যান ও ২৪ জানুয়ারির প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল হালিম দোভাষ, শাহিনুর আক্তার, শামীম আরা লিপি, জয়া চৌধুরী, সোমা মুৎসুদ্দি, আশরাফ উদ্দিন শাহীন, মো. আব্দুর রউফ, এস এম সোলায়মান সবুজ, মঞ্জুরুল আলম, সাজ্জাদুল ইসলাম শানু, হিজবুল্লাহ আল হাদি, ফাতেমা আক্তার, সালমা আক্তার শিলা, মো. আলী চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এদেশের মানুষকে সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হয়েছে। সকল বৈষম্য পেছনে ফেলে এ দেশের মানুষ তার জনপদকে রক্ষা করেছে। বাঙালি আদর্শকে সমুন্নত রেখেছে। কিছু সংখ্যাহীন স্বৈরাচারী শাসক এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ফলিত সত্যের ইতিহাসকে চিরতরে স্তব্ধ করতে চেয়েছে ১৯৭৫ সালে। তারই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্র জলপাই রঙের শাসনে নিয়ন্ত্রিত কাফনে জীবন্ত বন্দী ছিল অনেক বছর। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য জন্ম হয় নূর হোসেন, ডা. মিলনের মতো কয়েকজন গণতন্ত্র রক্ষাকর্মীর। তার আগে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে শেখ হাসিনার গণতন্ত্র রক্ষার সমাবেশে তৎকালীন স্বৈরশাসকের পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অসংখ্য তাজা প্রাণ। যারা গণতন্ত্রের সোনালী ভোরের প্রত্যাশায় ছিল দুর্নিবার। যাদের রক্তে গণতন্ত্র আজ অলাতশোভা। ৮৮’র ২৪ জানুয়ারি সমগ্র বিশ্বে আজ ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস হিসেবে পরিগণিত। বিজ্ঞপ্তি