শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ঢল

18

পূর্বদেশ অনলাইন

বরেণ্য সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। ফুলে ফুলে ভরে যায় শোকমঞ্চ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহ আনা হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। গার্ড অব অনার দেন সিএমপির একটি চৌকস দল।

স্মৃতিচারণ করেন কবি আবুল মোমেন, চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, অধ্যাপক বেণু কুমার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসান।

শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবসার, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, প্রফেসর রীতা দত্ত,নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, লেখিকা আনোয়ারা আলম, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ডা. চন্দন দাশ, শীলা দাশগুপ্ত, কবি আশীষ সেন, রাশেদ হাসান, রমেন দাশগুপ্ত, প্রণব চৌধুরী প্রমুখ।

উদীচী, কমিউনিস্ট পার্টি, সনাক, বোধন, প্রমা, খেলাঘর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা কলেজ, বাসদ, জেলা শিল্পকলা, সিআরবি রক্ষা মঞ্চ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, নারী যোগাযোগ কেন্দ্র, ফুলকি, বিটা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, যুব ইউনিয়ন, বিজয় মেলা পরিষদ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, অগ্নবীণা পাঠাগার, গণজাগরণ মঞ্চ, ব্লাস্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বিপ্লবী তারেকশ্বর স্মৃতি পরিষদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
বাদে জোহর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বরেণ্য সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারীনেত্রী, উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি, শহীদজায়া মুশতারী শফী সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগও ছিল তার। তিনি দুই ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য বাংলা একাডেমি ২০১৬ সালে তাঁকে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করে। তিনি ২০২০ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘রোকেয়া পদক’।