শহরের বুকে বসছে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’

39

ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত মোড়। নিত্যদিন যান আর মানুষের ছুটাছুটি। তারই মাঝে ‘মুজিববর্ষের’ প্রহর গুণতে একশ দিন আগে থেকে বসানো হবে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে ক্ষণগণনা শুরু হবে।
নগরীর ৪টি মোড়ে বসানো হবে এ বিশেষ ঘড়ি। যেগুলোর সব ধরনের ব্যয় বহন করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গতকাল বিকেলে চসিক সম্মেলন কক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১টি ও ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩টি ক্লক স্থাপন করা হবে। জনসমাগমপূর্ণ স্থানে ক্লকগুলো স্থাপন করা হলে তা সাধারণ জনগণের কাছে দৃশ্যমান হবে। এ লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্লকের জন্য আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন ভবন পার্কিং লট ও চট্টগ্রাম আদালত ভবন চত্বরকে নির্বাচন করে। অন্যদিকে ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্লক স্থাপনের জন্য টাইগার পাস, অক্সিজেন মোড়, পতেঙ্গা সি বিচ, বিমানবন্দর, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, সিটি গেট ও শাহ আমানত সেতু এলাকাকে মনোনীত করা হয়। সম্ভাব্য এ ৭টি মোড় থেকে ৪টি মোড়ে ঘড়িগুলো বসানো হবে। এছাড়া তিনি বলেন, ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্লক স্থাপন ও ১শ দিন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৯ টাকা এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্লকের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ লাখ ৮২ হাজার ৮২৩ টাকা। সিটি করপোরেশন ক্লক বাবদ সার্বিক ব্যয় বহন করবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে স্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল সোহেল আহমেদ, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, ওয়াসা ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. পীষুষ দত্ত, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।