শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় তিসি!

470

প্রকৃতির ভান্ডারে যে কত ভেষজ ওষুধ লুকিয়ে রয়েছে তার কোনো পরিমাপ নেই। তবে অনেকগুলো ওষুধি বীজের মধ্যে তিসি একটি। এই বীজের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে তিসি বীজ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিসির বীজের পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন জাদু দেখায় যে, ছোট-বড় একাধিক রোগ-ব্যাধি ধারে কাছে ঘেঁষার সাহসই পায় না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক তিসির বীজের উপকারিতা সম্পর্কে-
> তিসি আমাদের হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। মেজাজ ফুরফুরে রাখে।
> কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারীরা তিসির বীজ খান তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কম।
> তিসি গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূর করে এবং শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা করে।
> যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তারা খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। প্রতিদিন ২ চামচ তিসির পাউডার এর জন্য যথেষ্ট।
> হৃদপিন্ডকে সবল রাখতে কাজ করে তিসি। হার্ট ব্লক বা অনিয়মিত হার্টবিট রোধ করতেও অনেক সাহায্য করে।
> তিসি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে অতিরিক্ত মেদ কমায়।
> আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম লেভেল বাড়ায় তিসি। ফলে হাড় ও শরীরের জয়েন্টগুলো সুস্থ থাকে। বৃদ্ধ বয়সে হাড়জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
> প্রতিদিন ২ গ্লাস পানিতে ৩ চা চামচ তিসি গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
> যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন নেই যদি এই তিসি সেবন করে থাকেন। দৈনিক অন্তত ১৫ থেকে ২০গ্রাম তিসি খেলে ডায়াবেটিস কমে যাবে। আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা যদি এটি গ্রহণ করে তবে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
তবে গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া উচিত নয়। এতে মা এবং বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গর্ভবতী নারীদের এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা।