শরণার্থীর মর্যাদায় মুহিবুল্লাহর পরিবার কানাডায়

6

উখিয়া প্রতিনিধি

কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন আততায়ীদের গুলিতে নিহত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের সূত্রে জানা গেছে, মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলেমেয়ে, জামাতাসহ ১১ জনকে কানাডায় স্থানান্তর করতে সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)। কানাডায় স্থানান্তরের পর দেশটির সরকার তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলেও জানা গেছে।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ২৩ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে।
চাঞ্চল্যকর এ দুটি হত্যাকাÐের জন্য আরসাকে দায়ী করে আসছেন নিহতের স্বজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া ক্যাম্পে নিরাপত্তার জন্য আরসাকে হুমকি হিসেবেও মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনও রয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় ৫ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে হত্যার ফতোয়াদাতা কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার মৌলভী জাকারিয়াকে (৫৫)। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহর সঙ্গে কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার মৌলভী জাকারিয়ার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। মাস্টার মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে জোরালো অবস্থানের কারণে কথিত আরসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান মৌলভী জাকারিয়া তাকে হত্যার পক্ষে ফতোয়া দেন। এরপর মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয় বলে বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত উঠে আসে।