শমী কায়সার

0

একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী এবং প্রযোজক। তিনি নব্বই এর দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালে ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। শমীর একজন ছোট ভাই আছেন, অমিতাভ কায়সার। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। ফলে, শমী এবং রাজনীতিবিদ মাহি বি. চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন। ১৯৮৯ সালে পরিচালক আতিকুল হক চৌধুরী এমন একজন মেয়ে খুঁজছিলেন, যে কিনা নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারে, তার নাটক কেবা আপন কেবা পর এ অভিনয়ের জন্যে। এর ফলে শমী প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর তিনি ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটক যত দূরে যাই এ অভিনয় করে পরিচিত লাভ করেন। তারপর তিনি বহু নাটকে যেমন, নক্ষত্রের রাত, ছোট ছোট ঢেউ, স্পর্ষ, একজন, অরণ্য, আকাশে অনেক রাত, মুক্তি, অন্তরে নিরন্তরে, স্বপ্ন, ঠিকানা সহ বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন। শমী ঢাকা থিয়েটারে ১২ বছর ধরে কাজ করেন। তিনি শহীদুজ্জামান সেলিমের সাথে হাত হোদাই নাটকে অভিনয় করেন। লালন (২০০৪), হাছন রাজার মত সিনেমায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জীবনী নিয়ে নির্মিত দ্য নেম অব এ রিভার (২০০২) সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।
এছাড়া শমী একজন প্রযোজক। তিনি ১৯৯৭ সালে তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধানসিড়ি প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযোজনায় মুক্তি এবং অন্তরে নিরন্তরে নাটক নির্মিত হয়। ২০১৩ সালে নভেম্বরে তার প্রতিষ্ঠান, ধানসিড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেড, রেডিও অ্যাক্টিভ নামে একটি বেতার কেন্দ্রের জন্য লাইসেন্স পায়।
শমী ১৯৯৯ সালে ভারতীয় নাগরিক ব্যবসায়ী অর্নব ব্যানার্জী রিঙ্গোকে বিয়ে করেন। তবে দুই বছর পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে তিনি ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোহাম্মদ আরাফাতকে বিয়ে করেন। নানা কারণে সেই সংসারও টেকেনি। ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর তিনি বিয়ে করেন ব্যবসায়ী রেজা আমিন সুমনকে। সুমন র‌্যাংগস গ্রæপের প্রাক্তন কর্মকর্তা ছিলেন এবং বর্তমানে গ্রæপ ফোর দুবাই এর দায়িত্বে রয়েছেন। সূত্র: বাংলাপিডিয়া