শব্দদূষণ ৩০ স্পটে দ্বিগুণেরও বেশি, এমনকি হাসপাতাল এলাকায়ও

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে শব্দদূষণ রোধে অভিযানে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল এগারটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত নগরীর সিটি গেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১২টি যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের দায়ে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত রেজার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের’ আওতায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণয় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তাতে দেখা গেছে, নগরীর ৩০টি স্পটে শব্দ দূষণের মাত্রা দ্বিগুণের কাছাকাছি। এমনকি, হাসপাতালের সামনের এলাকার সড়কও অসহনীয় মাত্রার শব্দ দূষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
জরিপে অংশ নেয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণকাজ, মাইক ও সাউন্ডবক্সের উচ্চ আওয়াজ, ট্রেনের হুইসেল এবং মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত হর্ন শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ ও উৎস। বৃহস্পতিবার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অধিদপ্তরের গবেষণাগারের সিনিয়র কেমিস্ট কামরুল হাসান এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও আকবর শাহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারের পরিচালক ইশরাত রেজা বলেন, আমরা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনাকালে দেখেছি, বিভিন্ন শ্রেণীর যানবাহনে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন নগরীতে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দ দূষণ করছে। আর এ ধরনের হর্ন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস এবং কাভার্ড ভ্যান। অভিযানে যেসব যানবাহনকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলো এই দুই শ্রেণীভুক্ত। এসময় যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ন খুলে নিয়ে সেখানেই ধ্বংস করা হয়েছে। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।