শঙ্করাচার্য ছিলেন মানবধর্মের উদ্গাতা : চশিবো চেয়ারম্যান

7

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী বলেছেন, জগৎগুরু আচার্য শঙ্কর পৃথিবীতে এসেছিলেন কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতাকে দূর করে হানাহানিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে। সনাতন ধর্মের বিভিন্ন মত ও পথের মধ্যে বৈষম্য ঘুচিয়ে দিয়ে তিনি বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং অতি অল্প বয়সেই তিনি তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আধুনিক ধর্মের রূপকার এবং মানবধর্মের উদ্গাতা। মুক্ত চিন্তার দিশারী ও সনাতন জাতির ভাগ্য বিধাতা। গত ৪ জুন নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে জগৎগুরু শ্রীশ্রী শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব উৎসব উদ্যাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম আয়োজিত উৎসব পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষদের আহ্ববায়ক মাস্টার অজিত কুমার শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আশীর্বাদক ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী নির্বাণানন্দ পুরী মহারাজ। শুরুতে বেদ ও উপনিষদ থেকে পাঠ করেন গীতাপাঠক ছোটন চক্রবর্তী। প্রধান বক্তা ছিলেন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ধর্মভাষক অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। পরিষদ নেতা সংগঠক প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবক তপন কান্তি ধর, পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আর.কে দাশ রুপু, অধ্যাপক রূপন ধর, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, অধ্যাপক পার্থ প্রতীম দাশ, কৃষি কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র শীল, প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুসুম চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ শেখর দত্ত, ব্যাংকার সুজয় দাশ, ব্যাংকার শম্ভু দাশ, অ্যাড. সুমন দাশ, ডা. স্বপন কান্তি দে, প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, ঔপন্যাসিক দুলাল মল্লিক, সংগঠক নুপুর দাশ প্রবীর, জয়া বল তপু, বাচিক শিল্পী প্রাপ্তি ভদ্র, দীপিকা সুশীল, রাজ মহাজন, অধ্যাপক অপর্ণা বিশ্বাস, সত্যজিৎ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার চৌধুরী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন টিভি শিল্পী অধ্যাপক জয়া দত্ত, নবনীতা দাশ, ঊষা আচার্য্য। অনুষ্ঠানে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথিকে পরিষদের পক্ষ থেকে সামবেদ প্রদান এবং সংগঠনের ১০ জন কৃতি সদস্যকে গীতা প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি