লোহাগাড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

14

লোহাগাড়ায় দিনদুপুরে হত্যা মামলার সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলামকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি নিহতের মা কুলসুমা বেগম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ১২ জনের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কালীনগর এলাকায় সাইফুল ইসলামকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। নিহত সাইফুল উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা হারিমুন পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় চম্পা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর একই এলাকার তৌহিদ গ্রূপের হাতে মোজাম্মেল হক নামে এক যুবক খুুন হয়েছিলেন। সাইফুল ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে সাইফুলসহ মোজাম্মেল হত্যা মামলার সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। গত ১৩ জানুয়ারি বড়হাতিয়ার পশ্চিমে পাহাড় থেকে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ৭নং ওয়ার্ডে এলে গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া করে। গ্রামবাসীর সঙ্গে সাইফুলও ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করলে সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে এলাকাবাসী পালিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা সাইফুলকে একা পেয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মাথা, পা ও পিঠ ক্ষত-বিক্ষত করে। পরে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে।