লোহাগাড়ায় পিতার যৌনতার শিকারে ৬ মাসের গর্ভবতী কন্যা

80

লোহাগাড়ায় নিজ পিতার যৌনতার শিকারে গর্ভবতী হয়েছে ১৫ বছর বয়সী কন্যা। পিতা নুরুল আলম (৩৮) ও গর্ভবতী মেয়েকে লোহাগাড়া থানা পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। গত ৩ জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নেয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পিতার যৌনতার শিকার কন্যা জানান, সে বর্তমানে ৬ মাসের গর্ভবতী। পিতা নুরুল আলম লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের সড়ইয়া গ্রামের নলুয়া বিল এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট বেলায় মা হারিয়েছে ওই কন্যা। পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তার অনুপস্থিতিতে কয়েকবার রাতে আঁধারে কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে। কোন বাঁধা মানেনি পিতা নুরুল আলম। শোরচিৎকার বা লোকজনের কাছে প্রকাশ করলে তাও নানাভাবে হুমকী দিয়েছে। ভয়ে এতোদিন এ গোপনীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। অবশেষে লোকজনের দৃষ্টিতে ধরা পড়ার কারণে ঘটনা প্রকাশ পায়। গত দু’দিন থেকে এলাকায় পিতা ও কন্যা এ বিষয় নিয়ে সড়াইয়া গ্রামে নানা ধরণের আলোচনা হয় মানুষের মুখে। অবশেষে পুলিশের কাছে সংবাদ দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নেয়। সহায় সম্বলহীন পিতা নুরুল আলম ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করছে। পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুছ জানান, স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে ঘটনা সত্য বলে জেনেছেন। পুলিশের হাতে পিতা ও কন্যাকে সোপর্দ করার জন্য মেম্বারকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

চন্দনাইশে জুয়া আইনে
১১ জনকে ২২শ
টাকা জরিমান

চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ.ন.ম বদরুদ্দোজা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে ১১ জনকে ২’শ টাকা করে ২ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে ১ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ২ জুলাই সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে কাঞ্চননগরের মৃত গুনু মিয়ার ছেলে মো. মোসলেম উদ্দীন (৪১), মৃত নুর বক্সের ছেলে শফিউল আহমেদ (৬২), মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে মো. সাহাব উদ্দীন (৪০), নুরুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ উদ্দীন (২৭), মৃত মো. আলীর ছেলে আবদুল আলিম (৫২), অপরদিকে সাতবাড়িয়া জামতল এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে মোজাফ্ফর আহমদ (৪৫), মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৮), নুরুল আলমের ছেলে মোজাম্মেল হক (২০), নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২), আহমদ কবিরের ছেলে রহিম উদ্দীন (২৬), মৃত নজির আহমের ছেলে শাহেদুল হক (৩৫) কে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রত্যেককে ২’শ টাকা করে ২ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে পশ্চিম বৈলতলীর মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে আবদুল গফুর (৬০) কে আটক করে গতকাল ২ জুলাই আদালতে প্রেরণ করা হয়। চন্দনাইশ প্রতিনিধি