লোহাগাড়ায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা আটক ১

32

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার হোসাইন আহমদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই রাতে গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) বাদি হয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যদের আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মাদ ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তিকে শনিবার ভোরে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পশ্চিম চুনতি মিরিখিল এলাকার মৃত আজম উল্লাহর ছেলে।
এর আগে গত ১৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মিরিখিল এলাকায় সশস্ত্র ডাকাতির এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম ডাকাতের গুলিতে আহত হন। এছাড়াও তার ভাই জাহেদুল আলম(৪৮) আহত হন। জাহাঙ্গীর আলম ও জাহেদুল আলম ওই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা সদর বটতলী শহরের রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ।
মামলার বাদি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার দিন রাত দেড়টার দিকে আমার ভাগ্নে ইঞ্জিনিয়ার নেওয়াজ তানভীর, খালাতো ভাই নাঈম উদ্দিন, মো. ইমরান, মো. জুয়েল ও চাচাতো ভাই সালমানসহ ৫জন মিলে আমাদের পারিবারিক পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এমন সময় দিনগত রাত ৩টার দিকে ১০/১২ জনের মুখোশধারী সংঘবদ্ধ একটি সশস্ত্র ডাকাত দল তাদেরকে পুকুর সংলগ্ন আমার চাচা মনির আহমদের পুরনো বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমার আরেক চাচা চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সাবেক মেম্বার হোসাইন আহমদের বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি আয়রন ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার বাড়ির গ্রিলের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে আমি ও ছোট ভাই জাহেদুল আলমের সাথে ডাকাতদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আমার ডান হাতের কব্জিতে গুলি করে এবং কপালে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে আমি গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। এসময় আমার ভাই জাহেদুল আলমও (৪৭) আহত হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে আমি বাদি হয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছি।
অন্যদিকে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সন্নিকটে অনেকটা নাকের ডগায় ডাকাতি ও ডাকাতের গুলিতে গৃহকর্তা ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধের ঘটনায় চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে চুনতিবাসী।
জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা রেকর্ড হওয়ার পর পরই মো. ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।